বরিশাল মহানগর ছাত্রদল নেত্রী নাসরিনকে বহিস্কারের আবেদন

কনভেনরকে অর্ন্তভূক্ত করার ঘটনায় সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক পদ থেকে আফরোজা খানম নাসরিনের বহিস্কার দাবী করে কেন্দ্রে আবেদন করেছে বরিশাল মহানগর ছাত্র দল নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর এই আবেদন পত্র গতকাল পাঠানো হয় । বিষয়টি প্রকাশ পেলে এ নিয়ে শুরু হয় তোলপার।
যার অনুলিপি প্রেরন কার হয়েছে মহানগর বিএনপির সভাপতি সাংসদ সদস্য এ্যাডঃ মজিবর রহমান সরোয়ারের কাছেও।

জানাগেছে , অসংগঠনিক প্রক্রিয়ায় যে ৩ জয়েন কনভেনার অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে তারা হল মশিউর রহমান মিঠু ও সাঈদ খোকন ও দোলন। তথ্যনুযায়ী, শুধু মাত্র কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদকের স্বাক্ষর নিয়ে নাসরিন কর্তৃক লবিংয়ের মাধ্যমে খোকন,মিঠু ও দোলনকে যুগ্ন আহবায়ক পদে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এরপর নাসরিন তার অনুসারীদের নিয়ে এমপি সরোয়ারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে কাউনিয়ার বাসভবনে যায়। এমপি সরোয়ার তাদেরকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পাশাপাশি নাসরিনকে ক্ষিপ্ত কন্ঠে প্রশ্ন রেখে এমপি সরোয়ার বলেন কেন এরকম বিতর্কিত কাজ করলে। পরপরই বির্তকিত এই ছাত্র নেতারা দলীয় পদ-পদবী লাগিয়ে নগরীতে পোষ্টার করে। পরে নাসরিনের যোগসাজেশে মামলা দায়েরের পর ঘটনা ছাত্রদল নেতাদের মাঝে দাবানলে রুপ নেয়। সর্বশেষ গতকাল নাসরিনের বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় ,সংসদ ছাত্র দল সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর ছাত্রদল কর্তৃক নাসরিনের বহিস্কারের আবেদন পত্র পৌছে দেয়া হয়। যায় অনুলিপি সাংসদ মজিবুর রহমানের হাতেও পৌছে দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় সালাউদ্দিন টুকু’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নতুন করে কো-অপ্টের জন্য অনুমোদন পত্রে তিনি কোন স্বাক্ষর করেন নি। ফলে এ ঘটনা গঠনতন্ত্র বর্হিভূত। ও দিকে ৩ ছাত্র দল কর্মিকে অর্ন্তভূক্ত করা হলেও ছাত্রদল স্বক্ষরিত এই কমিটিতে দোলনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জানান, গঠন তন্ত্র বহির্ভূত অগ্রহনযোগ্য বলে মনে করছেন তাই নাছরিনের বিচার চেয়ে আবেদনপত্র হয়া হয়েছে।