শাবিতে সমাজকর্ম বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

তাই  নিজেকে  যোগ্য ও দক্ষ সমাজসেবী হিসেবে তৈরি করতে হলে সমাজকর্মের জ্ঞান অপরিহার্য। আমাদের সমাজে মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় সমাজে আলোকিত মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সৃজনশীল ও কারিগরী জ্ঞানের অভাবের কারনে অনেক উচ্চ ডিগ্রিধারী মানুষও সমাজে নীতি নৈতিকতাহীন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সমাজকর্ম বিভাগের আয়োজনে নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে একটি সৃজনশীল ব্যবস্থা হিসেবে রূপ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগ তার আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাস ও শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আরো দক্ষ করে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম বিভাগের নিজস্ব ঐতিহ্য আছে। তাই নবীন শিক্ষার্থীদের উচিত বিভাগের সকল ইতিহাস ঐতিহ্যকে সম্মান দেখিয়ে অভিষ্ট লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হওয়া। সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. আ.ক.ম মাবুবুজ্জামান এর সভাপতিত্বে ও বিভাগের মাষ্টার্স শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আব্দুর রহমান রানার সঞ্চালনায় ও অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্টানের আহবায়ক ও সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক ফখরুল আলম।
সভায় নবীনদের মধ্য থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন ১ম বর্ষ ১ম সেমিষ্টার শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শিব্বির আহমেদ, বিদায়ীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন,সমাজকর্ম বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: বিল্লাল হোসেন ও নিলুফার ইয়াসমিন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাগের অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের বক্তব্যে বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. আ.ক.ম মাবুবুজ্জামান নবীনদের উদ্দেশ্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানগৃহের পাশাপাশি অনেক কিছুর হাতছানি থাকে। তাই নিজেদের মেধা মননকে কাজে লাগিয়ে সকল ইতিবাচক কাজগুলোকে গ্রহণ করে অন্যগুলোকে বর্জন করো।এখানে যা কিছু করো আমাদের স্বপ্নের বীজগুলোকে নষ্ট করে নিজেদের ও আমাদেরকে ঠকিও না। বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,কর্তব্য সম্পাদনের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিত্ত্ব ফুটে ওঠে। এতদিন তোমরা যে জ্ঞান অর্জন করেছ তা থেকে এখন কর্মক্ষেত্রে বিশাল যুদ্ধে সমাজকর্মের শাণিত তরবারী নিয়ে অগ্রসর হও।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিরা নবীন ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদেরকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করেন। পরে বিভাগের শিক্ষক ও  শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।