লীগের বেশ কয়েক নেতা দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে এখানকার রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সরগড়ম।
সমপ্রতি দেশের সবকটি জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । দলীয়ভাবে যাদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততা রয়েছে তাদের এ পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছেন তিনি। মহাজোটের শরীকরা এ পদে আসতে পারেন। সাবেক এমপি কিংবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এমন নেতারা ঠাঁই পাবেন এ পদে। এ খবরের পরই নানামুখী দৌড়ঝাঁপ করে আসছে বরিশালের জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কজন ত্যাগি নেতা।
প্রশাসক পদে নিয়োগ হতে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক এড. আফজালুল করিম, কৃষক লীগের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ মনসুর আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সম্পাদক মনিরুল হাসান খান, কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম। এর বাইরে মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শাহানারা বেগমের প্রশাসক পদে ঠাঁই নেয়ার গুঞ্জন চলছে। যদিও এদের মধ্যে ত্যাগের রাজনীতিতে এগিয়ে রয়েছেন আফজালুল করিম, এ্যাডঃ মনসুর আহম্মেদ ও মনিরুল আহসান খান।
আফজালুল করিম বলেন, রাজনীতিতে আমার ত্যাগের বিষয়টি সকলেই অবগত। নেত্রী আমার সাংগঠনিক কর্মকান্ডে মুগ্ধ। এজন্য প্রশাসক পদে নিয়োগ পেতে তিনিই যোগ্য বলে দাবি করেন।
এ্যাডঃ মুনসুর আহম্মেদ বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে দলকে সুসংগঠিত করতে তার অনেক ত্যাগ, মেধা ও শ্রম রয়েছে। দলের জন্য তিনি নিবেদিত দাবি করে বলেন, সর্বশেষ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে যোগ্য হলেও দলের সিদ্ধান্তে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছি । এ জন্য এ পদে তিনিই যোগ্য বলে দাবী করেন।
মনিরুল আহসান খান জানান, দীর্ঘ ৪০ বছরের অধিক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে তার অংশগ্রহণ বিদ্যমান। তিনি বলেন, দল থেকে অন্যায় সুবিধা তিনি কখনো নেননি বলে প্রশাসক পদে তিনিই যোগ্য।
কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি জাতীয় সংসদে সদর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। অল্প ব্যবধানে তিনি হেরেছেন। তিনি বলেন, প্রশাসক পদে বসতে তিনি আগ্রহী। নিয়োগের বিষয়টি নেত্রীর হাতে। আমি এ পদের যোগ্য হলে তিনি আমাকেই বসাবেন।