ঠেকানো গেলনা তহমিনার বিয়ে

ঠেকানো গেলনা তহমিনার বাল্য বিয়ে । স্থানীয়রা বাল্য বিয়ের সংবাদ পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধাদিলে চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিয়ে পুলিশকে ফিরিয়ে দিয়ে ঘটাকরে বিয়ে দিল স্কুল ছাত্রী তহমিনাকে । ঘটনাটি  বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার লতা ইউপির সোনাপুর গ্রামের ।
 

সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঐ গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব খার মেয়ে উদয়পুর মুসলিম আখন্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ ম শ্রেনীর ছাত্রী তহমিনা আক্তার(১৫) কে হিজলা উপজেলার পত্তনি ভংগা গ্রামের হাসেন মল্লিকের ছেলে রাসেল মল্লিকের সাথে বিয়ে ঠিক করে । গতকাল দুপুরে বিয়ের মজলিশ বসে । স্থানিয়রা বিষয়টি তাৎক্ষনিক কাজির হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অবহিত করে । তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আলমগির হোসেন ঘটনা স্থলে গিয়ে বিয়ে হবেনা বলে জানিয়ে দেয় । পরে প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান নেহাল পুলিশকে এবিষয়ে নাগ গলাতে বারন করে । পুলিশ চেয়ারম্যনের হুমকির মূখে ফিরে আসলে চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত থেকে  বিকেল ৩ টায় ঘটাকরে বিয়ে দেয় তহমিনার । এরপরপরই তাকে নিয়ে যাওয়াহয় হিজলার পত্তনি ভংগার স্বশুরালয়ে ।
এবিষয়ে কাজির হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, বিয়ে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে রান্নার আয়োজন বন্ধ করে দিলেও প্রভাবশালীদের চাপের মুখে বিয়ে বন্ধ করতে পারেননি। তিনি এ Gournadi.com-কে জানান, বিয়ে পড়ানোর পক্ষে জনপ্রতিনিধিসহ উপর মহলের চাপ থাকায় বিয়ে ঠেকানো যায়নি।

সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে চেয়ারম্যান হুমকিদিয়ে পুলিশ দরকার নেই আমি নিযেই বিষয়টি দেখছি বলে পুলিশকে পাঠিয়ে দেয় । এরপর চেয়ারম্যান কাজি ডেকে ঘটাকরে বিয়েদেয় তহমিনার ।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন মেয়ের বাবা একটি ভালো ছেলে পেয়েছে তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে । স্কুল সার্টিফিকেটের বয়স বাধাহতে পারেনা । মেয়ে দেখলে কেউ নাবালিকা বলবেনা । অবিভাবক বিয়ে দিয়েছে এটা নিয়ে বাড়াবাড়ী করা ভালনা ।