লিমনের সঙ্গে দেখা করতে পারে নি বাবা ও স্বজনরা

চিকিৎসাধীন কলেজ ছাত্র লিমনের সঙ্গে বাবা ও স্বজনরা দেখা করতে পারে নি । শুক্রবার দুপুরে দেখা করার চেষ্টা করলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি মিলে নি।

দুপুর ১২টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে লিমনকে দেখতে আসেন বাবা তোফাজ্জেল হোসেন,মামা ইদ্রিস আলী ও তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম। এছাড়া হাসপাতালে আসেন লিমনের অপর মামা সিদ্দিকুর রহমান,স্ত্রী মাহিনুর বেগম ও পুত্র নাঈম। কিন্তু সেখানকার জেল পুলিশের সাফ কথা লিমনের সঙ্গে কোন স্বজনের দেখা মিলবে না। বরিশাল জেল সুপারের নিকট বাবা ও স্বজনরা দেখা করার অনুমতি চাইলে তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

লিমনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন জেলার তাকে বলেছেন আপাতত লিমনের সঙ্গে কারো দেখা করা যাবে না। কয়েক দিন পরে দেখা করতে পারবেন। লিমনের বাবা বলেন অস্ত্র মামলা ও সরকারী কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে র‌্যাবের দায়েরকৃত মামলায় জামিন হলেও কাগজ পত্র না আসায় তার ছেলে মুক্তি পাচ্ছে না।

এর আগে বৃহস্পতিবার কথিত বন্দুকযুদ্ধে আহত ঝালকাঠির লিমন হোসেনকে র‌্যাবের অস্ত্র মামলায় ৬ মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সাথে তাকে কেন স্থায়ী জামিন এবং সঠিক ঘটনা উদঘাটনের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ দেয়া হবে না, তার কারণ জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, র‌্যাব মহাপরিচালক ও ঝালকাঠীর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া অসুস্থ লিমনকে সরকারি খরচে সুচিকিৎসারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়ায় র‌্যাবের অভিযানের সময় গুলিতে আহত হয় কলেজ ছাত্র লিমন। লিমনের দাবি, র‌্যাব সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে গুলি করেছিল। পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। ঘটনার দিনই র‌্যাবের ডিএডি লুৎফর রহমান বাদী হয়ে লিমনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি এবং সরকারি কাজে বাধা দান, হত্যা চেষ্টা এবং র‌্যাব সদস্যদের আহত করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করে। অস্ত্র মামলায় লিমনকে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় ঝালকাঠির একটি আদালত। ঝালকাঠি কারাগার থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টায় তাকে শেবাচিম হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করে।
(এজে/গৌরনদী ডটকম)