গৌরনদীর হাট-বাজারে নতুন ধান ॥ কমছে দাম

হাট-বাজারে নতুন ধান ওঠার কারনে কমতে শুরু করেছে ধানের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মনপ্রতি ধানের দাম কমেছে ১২০ থেকে ২’শ টাকায়। দাম কমার হার দেখে প্রান্তিক কৃষকেরা এখনই শংকিত হয়ে পড়েছেন। তারা অবিলম্বে সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয়ের দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলায় এবার ৬ হাজার ৬শ ৬০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ হয়েছে। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেচ, সারসহ কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতায় এবার প্রতিটি এলাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। গত একযুগের মধ্যে এ বছরই কেবল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এদিকে গত দুই সপ্তাহ যাবৎ গৌরনদীসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার হাট-বাজারে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে।
গতকাল শনিবার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাহিলাড়া হাটে প্রতিমন ব্রি-২৮ ধান ৫৫০ থেকে ৬’শ টাকা, ব্রি-২৯ ধান ৫২০ টাকা থেকে ৫৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে ধান বিক্রি করতে আসা গেরাকুল গ্রামের কৃষক লাল মিয়া বেপারী (৫২) জানান, নতুন ধান হিসেবে হাটে যে দাম পাওয়া যাচ্ছে তাতে তারা বেশ খুশি। কিন্তু যে হারে দাম পড়তে শুরু করেছে তাতে করে ধানের দাম ৪’শ টাকা মণ দরে নেমে আসতে পারে। তাহলে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলেও উল্লেখ করেন। ভীমেরপাড় গ্রামের কৃষক হেলাল সরদার জানান, এবার বোরো ধান ওঠার সাথে সাথে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় চাষীদের পক্ষে বেশি পরিমাণ ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে না। ফলে বাজার চলে যাবে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। তখন চাষীরা ব্যবসায়ীদের নির্ধারিত মূল্যে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হবে। চাষীরা তাই অবিলম্বে সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করার দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক জানান, ধান-চাল সংগ্রহে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই তাদের কোনো প্রস্তুতিও নেই।