আজ মুক্তি পাচ্ছে লিমন – তদন্ত টিম রাজাপুরে

পায়ে গুলি করার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এদিকে আজ সোমবার ঝালকাঠি আদালতে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আদেশ এলেই লিমন মুক্তি পাবে। রবিবার হাইকোর্টের আদেশের কপি ঝালকাঠি আদালতে ডাক বিভাগের জিইপি সার্ভিসে পাঠানো হয়েছে। ঝালকাঠিতে লিমনের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মানিক আচার্য্য জানান, লিমনের পক্ষে মানবাধিকার কমিশন নিযুক্ত হাইকের্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না  লিমনের জামিনের আদেশ ডাক যোগে পাঠিয়েছেন। আজ সেটি আদালত থেকে বরিশাল কারাগারে পাঠানো হবে।

 তদন্ত টিম গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আকবর এ তদন্ত করছেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও রাজাপুর থানার ওসি তোফাজ্জেল হোসেন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজাপুর থানার এসআই আ: হালিম তালুকদার। তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ শওকত আকবর এলাকার লোকজন এবং ২ জন ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শীর সাথে কথা বলেন। তবে লিমনের মায়ের সাথে কোন কথা বলেননি। তিনি প্রায় ১ ঘন্টা তার তদন্ত কার্যক্রম শেষে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যাবার আগেই সেখানে র‌্যাবের সোর্স পরিচয়ধারী ইতিপূর্বে লিমনের বিরুদ্ধে দেয়া স্বাক্ষীসহ ১০/১২ জন অপেক্ষমান রয়েছে। এদের মধ্যে একাধিক মামলার আসামী তুহিন, লিডার ইব্রাহীম, মানিক জমাদ্দার উল্লেখযোগ্য। এরাই গত ১২ এপ্রিল র‌্যাব হেডকোয়ার্টার থেকে আসা তদন্ত কমিটির কাছে লিমনের বিপক্ষে স্বাক্ষ্য দিয়েছিল। গতকাল তদন্ত কর্মকর্তা তাদের সাথে কথা বলার সময় তারা লিমনকে সন্ত্রাসী বলে জানায়। এসময় সেখানে উপস্থিত লিমনের আত্মীয় স্বজন এবং এলাকাবাসি এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এতে সেখানে দু’পক্ষ তর্কে জড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এসময় লিমনের পক্ষে অনেকে কথা বলতে চাইলে তাদের কথা না শুনেই তদন্ত কর্মকর্তা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে রাজাপুর চলে আসেন।

এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা লিমনের পায়ে গুলি করার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিশু রসুল (৯) এর সাথে কথা বলেন। তখন রসুল জানায়, লিমনকে র‌্যাব গুলি করার আগে আমি ও লিমনসহ ৩ জন সাতুরিয়ার জমাদ্দার হাট সংলগ্ন ব্রীজে বসা ছিলাম। সেখানে র‌্যাব এসে লিমনকে সন্ত্রাসী মোর্শেদের সহযোগী বলে তার জামার কলার ধরে। এরপর লিমনকে পাশ্ববর্তী কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর একটি গুলির শব্দ হলে লিমন মা মা বলে চিৎকার করে।