কাফালা বন্ধ থাকায় নিস্ব অবস্থায় ৩০ শ্রমিককে দেশে প্রেরন

হয়ে গত মাসের ২৮এপ্রিল দেশে ফিরে এসেছেন ৯৭জন বাংলাদেশী। যার মধ্যে বরিশালের রয়েছেন অন্তত ২৫/৩০ জন। তাছাড়া পালিয়ে বেরাচ্ছে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী। এমনকি প্রবাসী এসব বাংলাদেশীরা কফিলের (মালিকের) অবহেলার কারনে লিগাল ভিষা দিয়ে যাওয়ার পরও আকামার (চলার অনুমতি) অভাবে চলাচলও করতে পারছেনা। এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রি ও শ্রম মন্ত্রির কাছে জোর অনুরোধ জানিয়েছে সৌদিতে বসবাসকরী হাজার হাজার বাংলাদেশী প্রবাসী।

দেশে ফিরে আসা এসব শ্রমিকদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্যরা হচ্ছেন মেহেন্দিগঞ্জ থানার পাতার হাটের রাজিব সিকদার, পিন্টু, মোঃ কাশেম, সোহেল, ও আলীগঞ্জের বাজার সংলগ্ন নান্নু ব্যপারী, দেলোয়ার ব্যাপারী, আব্দুল হাকিম মাষ্টার, সাহাবুদ্দিন, রাসেল ও জাহাঙ্গির প্রমূখ। এদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সৌদি-আরবের আলবাহা থেকে ফেরৎ আসা মেহেন্দীগঞ্জের আলীগঞ্জ গ্রামের দেলোয়ার ব্যাপারী জানান, গত মাসের ২৮ তারিখ বৃহস্পতিবার সে সহ ৯৭জন  প্রবাসী বাংলাদেশে ফিরে আসে। তিনি জানান, দীর্ঘ ৫ বছর পর মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনা সৌদি সরকারের সাথে যোগাযোগ করে পুনরায় ভিষা চালু করেন। যে কারনে সৌদি প্রবাসীদের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছিল। কিন্তু সে সময় কাফালা চালু করা হয়নি বলে হাজার প্রবাসীরা প্রতিনিয়ত হাজারও সমস্যার সম্নুখিন হচ্ছে। তা ছাড়া মালিকানা ভিত্তিক যেসব শ্রমিকরা সৌদি আরবে বসবাস করছে তাদেরকে জিম্নি করে আকামা’র ফি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ফি দিতে অপারগ ব্যেক্তিদের ঠিকানা হল জেল হাজত। একটি আকামার জন্য প্রয়োজন ৬শ৫০রিয়াল। যা কোন বাংলাদেশী শ্রমিকদের পক্ষে দেয়া সম্ভব না। দেলোয়ার আরও জানান, কাফেলা হচ্ছে  এক মালিকের কাছ থেকে অন্য এক মালিকের কাছে যাওয়ার অনুমতি। শীঘ্রই কাফেলা চালু না হলে আরও হাজার হাজার বাংলাদেশীকে অবৈধ  হয়ে জেল হাজতে বছরের পর বছর কাটাতে হবে। ইতিমধ্যে সৌদির জেদ্দা জেল হাজতে দিন পার করছেন প্রায় কয়েক শ বাংলাদেশী।

সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশীদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রি ও শ্রম মন্ত্রির কাছে জোর অনুরোধ জানিয়েছেন দেলোয়ার। এবং একই সাথে দেলোয়ার দাবী জানান, তিনি তার সর্বস্ব বিক্রি করে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। এখন দেশে তার কিছু নেই। তাদের পুর্নবাসনের দায়িত্ব নিতে সরকারের প্রতি তারা জোর অনুরোধ জানান।