লিমনের জামিনের কপি ডাকে প্রেরন

জামিনের কপি রোববার আইন ও শালিস কেন্দ্র রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে নিয়ে এসে মুক্ত করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। জামিনের কপি ফ্যাক্স বা হাতে না দিয়ে হাইকোর্ট আজ দুপুরে ডাকে প্রেরন করেছে। এ কারনে সোমবার কপি ঝালকাঠি শেষে বরিশাল পৌছানোর পর মুক্তি পেতে পারে লিমন।।

 এর আগে বৃহস্পতিবার কথিত বন্দুকযুদ্ধে আহত লিমনকে র‌্যাবের অস্ত্র মামলায় ৬ মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু কাগজ পত্র না আসায় তাকে থাকতে হচ্ছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে। তারও আগে র‌্যাবের দায়েরকৃত সরকারী কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে মামলা থেকেও জামিন পেয়েছে লিমন।

 লিমনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন গৌরনদী ডটকম-কে বলেন অস্ত্র মামলায় জামিনের কাগজ পত্র আইন ও শালিস কেন্দ্র হাতে নিয়ে বিকেলে পৌছানোর কথা ছিল। কিন্তু হাইকোর্ট ফ্যাক্্ের বা কারো হাতে জামিনের কপি না দিয়ে ডাকে পাঠিয়েছে। ফলে আজ সন্ধ্যয় মুক্তি পাচ্ছে না লিমন। আগামীকাল কপি বরিশালে পৌছানোর পর তাকে মুক্তি করানো সম্ভব হবে।

লিমনের আইনজীবী আক্কাস শিকদার গৌরনদী ডটকম-কে বলেন হাইকোর্ট থেকে ডাকে লিমনের জামিনের কপি পাঠিয়েছে। সোমবার কপিটি ঝালকাঠি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পৌছবে। সেখান থেকে ঝালকাঠি কারগারে এরপর বরিশাল কারাগারে জামিনের কপিটি আসবে। কাল সন্ধ্যার মধ্যে লিমন মুক্তি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়ায় র‌্যাবের অভিযানের সময় গুলিতে আহত হয় কলেজ ছাত্র লিমন। লিমনের দাবি, র‌্যাব সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে গুলি করেছিল। পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। ঘটনার দিনই র‌্যাবের ডিএডি লুৎফর রহমান বাদী হয়ে লিমনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি এবং সরকারি কাজে বাধা দান, হত্যা চেষ্টা এবং র‌্যাব সদস্যদের আহত করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করে। অস্ত্র মামলায় লিমনকে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় ঝালকাঠির একটি আদালত। ঝালকাঠি কারাগার থেকে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তাকে করিশাল কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একই দিন দিবাগত রাত ৩টায় তাকে শেবাচিম হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করে।
(এজে/গৌরনদী ডটকম)