বেহাল দশা গৌরনদীর সরিকল বন্দরের

এমনই বেহাল অবস্থায় রোদ-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই বাজার বসছে খোলা আকাশের নিচে। অথচ প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও বন্দরের ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ লাঘবে দেখার যেন কেউ নেই। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সরিকল বন্দরের।

সরেজমিনে বন্দরের ব্যবসায়ীদের অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ সরিকল বন্দরের নানা সমস্যা বিদ্যমান। এসব সমস্যা নিরসনের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ব্যবসায়ীরা ধর্ণা দিয়েও কোন সুফল পায়নি। বন্দরের ব্যবসায়ী সজিব মন্ডল জানান, প্রায় ২৫/৩০ বছর পূর্বে বন্দরের পশ্চিম পার্শ্বে একটি গণ শৌচাগার নির্মান করা হলেও সংস্কারের অভাবে সেটি আজ ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পরেছে। ব্যবসায়ী সবুজ আহম্মেদ জানান, কাঁচামাল বিক্রির জন্য বন্দরের দীর্ঘদিন পূর্বে নির্মিত টল ঘরটি বর্তমানে ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পরেছে। যেকোন সময় টল ঘরটি ধসে পরতে পারে। এ আশংকায় ব্যবসায়ীরা টল ঘরে না বসে রোদ-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এখন খোলা আকাশের নিচেই মালামাল বিকিনিকি করছেন। ব্যবসায়ী উপেন মন্ডল জানান, বন্দরে উন্নত ড্রেনেজ পদ্ধতি না থাকায় বর্ষার পানি নিস্কাশনে চরম বিঘ্ন ঘটছে। ফলে প্রায় সময়ই বন্দর কর্দমক্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও বন্দরের সড়কগুলোর বেহাল দশা। বন্দরের মধ্যকার সড়কটির মধ্যে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্নসহ বন্দরে মালামাল আনা নেয়া করতে প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

উল্লেখিত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে সরিকল বন্দর কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, এ বন্দর থেকে সরকারের প্রতিবছর বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। কিন্তু বন্দরের উন্নয়নের জন্য সরকারের কোন উদ্যোগ নেই। এ ব্যাপারে আমি একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন সুফল পাইনি। চলতি বছর বন্দর থেকে ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বন্দরের ব্যবসায়ীসহ  প্রতিনিয়ত আগত ক্রেতা-বিক্রেতারা জরুরি ভিত্তিতে সরিকল বন্দরের উল্লেখিত সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।