সরিকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফের মামলা

চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মঞ্জুর হোসেন মিলনের বিরুদ্ধে আদালতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে হয়রানীর উদ্দেশ্যে ফের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে গত দু’বছরে চেয়ারম্যান মিলনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়। প্রতিটি মামলায়ই তিনি জামিনে রয়েছেন।   

বরিশাল সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে মামলার বাদি সরিকল ইউনিয়নের কুরিচর গ্রামের সরদার মনিরুজ্জামান মনিরের গত ৯ মে (সোমবার) বিকেলে দায়ের করা মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি থেকে ২০ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত উল্লেখিত চেয়ারম্যান এবং ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বর) আব্দুস সালাম বেপারী সরকারী অনুমতি ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনসহ ২০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করে। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। ওই টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান ও সাবেক মেম্বরসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনে আত্মসাত করেন। এ ব্যাপারে মামলার বাদি গত ৫ মে থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়। বাদির আবেদনের ভিত্তিতে আদালতের বিচারক এ.কে.এম সলিমউল্যাহ মামলার বাদী থানায় গিয়ে মামলা করতে ব্যর্থ হয়েছেন কিনা সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করে সরিকল ইউনিয়নের দু’বার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন মিলন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন নির্মানের সময় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হেমায়েত উদ্দিন সরেজমিন পরিদর্শন করে ঠিকাদার মোঃ আলাউদ্দিন ভূঁইয়াকে ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মানের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। গাছ বিক্রির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য-সদস্যাদের সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশনের মাধ্যমে নতুন ভবনের স্থলের ৭/৮ টি মেহগনি গাছ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।       

গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উল্লেখিত ঘটনার আদালতের কাগজপত্র হাতে পেয়েছি।