কালকিনিতে কাশেম বাহিনীর পাল্টা হামলায় আহত-২০

শতাধিক বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এ সময় মহিলাসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এনায়েত নগর ইউপির কালাই সরদারের চর, কাজী কান্দি, সমিতির হাট ও মহরদ্দিরচর গ্রামে গত রবিবার বিকালে কাশেম বাহিনী’র প্রধান কুখ্যাত ডাকাত কাশেম তালুকদারের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৪৫জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তান্ডব চালিয়ে দলিল উদ্দিন তালুকদার, বাদল তালুকদার, সামছু তালুকদার, কাঞ্চন তালুকদার, হেমায়েত তালুকদার, নুরুল ইসলাম খান, বাবুল খান কামরুল খান, জামাল খান কবির খান ও লিটন তালুকদারসহ অর্ধশতাধিক ঘরবাড়িতে ভাংচুর করে লুটপাট চালায়। কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সন্ত্রাসীরা আতংক সৃষ্টি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল সেট ও চার্জার লাইটসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে রুবি বেগম(২০), সুমি আক্তার(১৭), কলি আক্তার(১২), সাবিনা(১৩), কাজল বরু(৮৫), সেলিনা বেগম(৪৫), হাচানাত(২৭), জব্বার খান(৭০), কালু খান(৫০)সহ ২০জন আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও পরিস্তিতি থমথমে অবস্থা বিড়াজ করছে।

কালাই সরদারের চর গ্রামের সন্ত্রাসীদের পিটুনিতে আহত সেলিনা বেগম জানান, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কাশেম তালুকদার নিরহ গ্রামবাসীর উপর হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেট ও নগদ টাকাসহ ২০লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে ও প্রত্যেকটি ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে’।

কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম শাহীন মন্ডল জানান,  ‘গ্রাম্য দলাদলীর কারনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে’।
উল্লেখ্য, ওই দিন ভোর রাতে বাদল বাহিনী উক্ত এলাকায় হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক বাড়িতে ভাংচুর করেছিল।