পুলিশের ভয়ে লাফিয়ে পরে যুবকের মৃত্যু – ২ পতিতা আটক

অভিযানের সময় ৬তলা থেকে লাফ দিয়ে প্রান হারিয়েছে শ্যামল (২৮) নামের এক যুবক। এ সময় পুলিশ দু দেহ ব্যাবসায়ী নারীকেও আটক করে। ঘটনার পরপরই হোটেল বাহাদূরকে সিলগালা করা হয়েছে। আচমকা এ মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ প্রশাষনের মধ্যেও চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি দেখা গেছে। এস আই কবির হোসেন ও আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালান হয়। মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় এ ঘটনা ঘটে।

তথ্যনুযায়ী, শ্যামল বাজার রোডের সিকদার বাড়ির একজন ভাড়াটিয়া। সে পারাবাত লঞ্চের একজন ক্যাম্বাসার বা টিকেট ব্লাকার। মঙ্গলবার দুপুর পোনে ৩টার দিকে শ্যামল নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ রোডের হোটেল বাহাদূরে অসামাজিক কার্যকলাপ করার জন্য যায়। এমন সময় পুলিশ হোটেল বাহাদূরে পতিতাবৃত্তির খবর পেয়ে অভিযান চালায়। এতে কিংর্কব্যবিমূঢ় হয়ে পরে শ্যামল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দিশেহারা হয়ে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে শ্যামল প্রথমে ২য় তলার জালানা থেকে লাফ দিতে নেয়। দোকান দাররা দেখতে পেয়ে তাকে নিষেধ করলে সে পালিয়ে থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু পুনরায় পুলিশের নজরে পরলে শ্যামল দৌড়ে ৪তলা বিশিষ্ট হোটেল বাহাদূর ভবনের ছাদে ওঠে। সেখানে থাকা বিলবোর্ডের পাইপ বেয়ে পাশ্ববর্তী ভবন গোল্ডেন টাওয়ার এর ছাদে ওঠে। অতঃপর গোল্ডেন টাওয়ারের ৬তলা ভবনের ছাদ থেকে নিচে লাফ দেয় শ্যামল। নিচে পরার ১৫/২০মিনিটের মধ্যেই শ্যামলের মৃত্য ঘটে। ঘটনার পরে পুলিশ ৪টার দিকে হোটেল বাহাদূরের ম্যনেজার বা কর্তৃপক্ষকে খুজতে গিয়ে কাউকে খুজে পায়নি। সর্বশেষ বিকেল ৫টা ১০মিনিটে বরিশাল মোট্রো পলিটন পুলিশ কমিশনার তৌফিকুর রহমান এসে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। হোটেলের পরিবেশ দেখে ও কাউকে খুজে না পেয়ে হোটেলটিকে সিলাগালা করার সিদ্ধান্ত নিলে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ওসি জাহাঙ্গীর হোটেলটিকে সিলগালা করে দেয়। এ সময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারি পুলিশ কমিশনার এজাজুর রহমান । পুলিশ শ্যমলের লাশ শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় ইউডি মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান কোতয়ালি থানা পুলিশ।