বরিশাল মেডিকেলে র‌্যাব, লিমনকে ঢাকায়

কলেজ ছাত্র লিমন(১৬) হোসেন আকনকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে উন্নত চিকিৎসায় রাজধানী ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার বিকেল ৪টা ৫৫  মিনিটে শেবাচিম হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি  পায় লিমন। মুক্তি পাওয়ার পর তাকে চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালের ৪ র্থ তলার অর্থোপেডিক্্র সার্জারী বিভাগের ইউনিট-১ এর অধীনে রাখা হয়।

লিমনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন অভিযোগ করে বলেন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠাতে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করেছিল। তারা এখানে রেখেই চিকিৎসা দিতে চেয়েছে। দুপুরে র‌্যাব সদস্যরা হাসপাতালে আসার পর শেবাচিম কর্তৃপক্ষ লিমনকে ঢাকায় পাঠাতে নানা অজুহাত দেখিয়ে হাসপাতালে থাকতে বলেন। তিনি আরো বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি সন্দেহমূলক হওয়ায় তড়িগড়ি করে লিমনকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়া হয়েছে। শেবাচিম হাসাপাতালের পরিচালক আবদুর রশিদ খান বলেন লিমনের চিকিৎসা শেবাচিম হাসপাতালেই দেয়া সম্ভব। কিন্তু লিমন ও তাদের পরিবার ঢাকায় যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হওয়ায় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। মা হেনোয়ারা বেগম বলেন লিমনের পা প্রতিস্থাপন করতে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। লিমনের সঙ্গে তার বাবা তোফাজ্জেল সঙ্গে গেছেন।

প্রসঙ্গত গত ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়ায় র‌্যাবের অভিযানের সময় গুলিতে আহত হয় কলেজ ছাত্র লিমন। লিমনের দাবি, র‌্যাব সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে গুলি করেছিল। পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। ঘটনার দিনই র‌্যাবের ডিএডি লুৎফর রহমান বাদী হয়ে লিমনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি এবং সরকারি কাজে বাধা দান, হত্যা চেষ্টা এবং র‌্যাব সদস্যদের আহত করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করে। অস্ত্র মামলায় ৩ মে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় ঝালকাঠির একটি আদালত। ঝালকাঠি কারাগার থেকে ওই দিন রাত ১১টার দিকে তাকে করিশাল কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একই দিন দিবাগত রাত ৩টায় তাকে শেবাচিম হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করে। ৫ মে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আহত লিমনকে র‌্যাবের অস্ত্র মামলায় ৬ মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয় হাইকোর্ট। এর আগে সরকারী কাজে বাধা প্রদানের মামলায়ও সে জামিন পায়।