লিমনের পরিবারকে অব্যাহত হুমকি

র‌্যাবের সোর্স পরিচয়দানকারীরা বলছে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করায় খেসারত দিতে হবে। তাদের পরিবারের কোন অস্তিত্ব রাখবে না র‌্যাব।

বুধবার দুপুর ২টায় সেল ফোনে লিমনের বাবা বলেন সাতুরিয়া এলাকার ইব্রাহিম, তুহিন ওরফে ঠ্যাং কাটা তুহিন, বাদশা ও নৈকাঠি এলাকার হারুন, মানিক র‌্যাবের বিরুদ্ধে মামলা করার পর থেকেই হুমকী দিয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন বর্তমানে সাতুরিয়া গ্রামের বাড়িতে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম ও বোন লাকী রয়েছে। র‌্যাবের সোর্স হিসাবে চিহ্নিতরা বাড়িতে গিয়ে বলেছে লিমনের পাশে এখন সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মিজানুর রহমান রয়েছেন। কিন্তু  তারা তো সবসময় পাশে থাকবে না। যখন থাকবে না তখন এই পরিবারের অস্তিত্ব দুনিয়ায় থাকবে না।

এদিকে সোমবার বিকেল ৪টা ৫৫  মিনিটে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পায় লিমন। মুক্তি পাওয়ার পর তাকে চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালের ৪র্থ তলার অর্থোপেডিক্স সার্জারী বিভাগের ইউনিট-১ এর অধীনে রাখা হয়। শেবাচিম হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। পঙ্গু হাসপাতালে লিমনের সঙ্গে রয়েছেন বাবা তোফাজ্জেল হোসেন।

প্রসঙ্গত গত ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়ায় র‌্যাবের অভিযানের সময় গুলিতে আহত হয় কলেজ ছাত্র লিমন। লিমনের দাবি, র‌্যাব সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে গুলি করেছিল। পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। ঘটনার দিনই র‌্যাবের ডিএডি লুৎফর রহমান বাদী হয়ে লিমনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি এবং সরকারি কাজে বাধা দান, হত্যা চেষ্টা এবং র‌্যাব সদস্যদের আহত করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করে। অস্ত্র মামলায় ৩ মে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় ঝালকাঠির একটি আদালত। ঝালকাঠি কারাগার থেকে ওই দিন রাত ১১টার দিকে তাকে করিশাল কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একই দিন দিবাগত রাত ৩টায় তাকে শেবাচিম হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করে। ৫ মে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আহত লিমনকে র‌্যাবের অস্ত্র মামলায় ৬ মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয় হাইকোর্ট। এর আগে সরকারী কাজে বাধা প্রদানের মামলায়ও সে জামিন পায়।