হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে এসে ঢাকা কলেজের ছাত্রী অপহৃত

বিকেলে কনক মিস্ত্রি নামের এক কলেজ ছাত্রী অপহৃত হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর ভাই স্কুল শিক্ষক শংকর মিস্ত্রি বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওইদিন সন্ধ্যায় অপহরনের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, আগৈলঝাড়ার রামানন্দেরআঁক গ্রামের কুমুদ মিস্ত্রির কন্যা ও ঢাকা কলেজের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কনক মিস্ত্রি (২১)। গতকাল বুধবার গ্রামের বাড়িতে আসার জন্য কনক ঢাকার গাবতলী থেকে হানিফ পরিবহনযোগে রওয়ানা হয়ে বিকেলে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে নামেন। কনককে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য গৌরনদীতে অপেক্ষায় ছিলো একই বাড়ির সুনিল বিশ্বাসের পুত্র সবুজ বিশ্বাস (১৮)। গৌরনদী থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পথিমধ্যে কনক অসুস্থ্য হয়ে পরে। এসময় তাকে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল কমাউন্ড এলাকা অতিক্রমকালে মধ্যশিহিপাশা গ্রামের অজেদ সরদারের পুত্র আরিফ সরদার, হাকিম সরদারের পুত্র রনি সরদার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী কায়েস হোসেন পথিমধ্যে কলেজ ছাত্রী কনক মিস্ত্রি ও সবুজ বিশ্বাসকে পথরোধ করে। এসময় উল্লেখিত যুবকেরা কনক ও সবুজের সাথে থাকা ২ টি মোবাইল সেট ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে সবুজকে মারধর করে মটরসাইকেলযোগে কনককে জোড়পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় কনকের ভাই স্কুল শিক্ষক শংকর মিস্ত্রি ওইদিন সন্ধ্যায় থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রনি ও আরিফ সরদারকে গ্রেফতার করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা) পুলিশ অপহৃতা কলেজ ছাত্রী কনককে উদ্ধার করতে পারেননি। আগৈলঝাড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এস.আই মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপহৃতাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের জোড়প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।