আসছে জাতীয়তাবাদী চেতনায় তৈরী অনলাইন গ্রন্থাগার

সঠিক ইতিহাস উপহার দিতে শীগ্রই আসছে জিয়া লাইব্রেরী ডট কম।

স্বাধীনতার চল্লিশ বছরের মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ইতিহাস বিকৃতি। ক্ষমতার পালা বদলে  একেক সময় একেক রকম করে নতুন প্রজন্মর কাছে ইতিহাস তুলে ধরা হয়ে থাকে, ফলে আসল ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আমাদের নতুন প্রজন্ম। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বধীনতা অর্জন করেছি, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামক একটি দেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সময়ের বিবর্তনে অনেকেই তাদের ভুলে যেতে বসেছে।

১৯৭১ সালের জাতির সেই ক্রান্তিকালে রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতা ও পলায়নের প্রেক্ষাপটে জাতি যখন দিশেহারা। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের সেই একটি ঘোষনা, "আমি মেজর জিয়া বলছি…" আহবান শুনে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।

যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই জিয়া লাইব্রেরী ডট কমের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।

তাই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী চেতনায় নির্ভর করে যে সকল লেখক বিভিন্ন সময়ে ইতিহাস, গদ্য, কবিতা, প্রবন্ধ, প্রতিবেদন, বই, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি প্রকাশ করেছেন তারই সঙ্কলনে আসছে অনলাইন গ্রন্থাগার। পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশীদের মাঝে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি পৌঁছে দেয়াই জিয়া লাইব্রেরীর লক্ষ্য।

জিয়া লাইব্রেরীর নিজস্ব কোন সংবাদদাতা বা লেখক নেই। সমাজের মুক্ত চিন্তার মানুষেরাই এর লেখক, পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষী। জনাব শামসুল আলমের সম্পাদনায় প্রকাশিত জিয়া লাইব্রেরীর সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছেন আশিক ইসলাম। তারা দুজনেই জিয়া পরিবারের সাথে ঘনিষ্টভাবে সম্পর্কিত। প্রধান সম্পাদক শামসুল আলম বর্তমানে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। সমসাময়ীক বাংলাদেশ ও ইতিহাস নির্ভর গবেষনায় ইতিমধ্যেই নিজস্ব একটি অবস্থান তৈরী করে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দীর্ঘকাল কাজ করার সুবাদে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে রয়েছে তাঁর সম্যক জ্ঞান।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি অফুরন্ত ভালবাসা ও শ্রদ্ধা নিয়ে মতিউর রহমান লিটুর সার্বিক পরিকল্পনা ও পরিচালনায় প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জিয়া লাইব্রেরী ডট কম। একাধিক ভাষায় প্রকাশিত জিয়া লাইব্রেরীতে থাকছে জিয়াউর রহমান, বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সহ আরো বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট। থাকছে বিএনপি ব্লগ। সকল শ্রেনীর পাঠক বা ব্যবহার কারীরা লগ ইন করে তাদের মতামত দিতে পারবেন,  লিখতে পারবেন তাদের মনের কথা। জিয়া লাইব্রেরী তৈরীতে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আশ্রাফ আলী হাওলাদার। মোট চারজন প্রোগ্রামারের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে সহসাই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে জিয়া লাইব্রেরী ডট কম।