চলে গেলেন ভিয়েনা প্রবাসী বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. এম এ মতিন

 আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. এম এ মতিন ৩ মে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার আলগেমাইন ক্রাংকেন হাউস হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহি….রাজিউন )। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, একমাত্র ছেলে, অসংখ্য বন্ধুবান্ধব, গুণগ্রাহী-শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন। গত ১২ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় এইmatin হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র ড. এম এ মতিন ষাটের দশকে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ডাকসুর নির্বচিত সদস্য ছিলেন। তিনি কানাডা থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। ঢাকার আনবিক শক্তি কমিশনে চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার হিসাবে কর্মরত অবস্থায় ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেষণে ভিয়েনায় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থায় যোগ দেন তিনি। জাতিসংঘের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ভিয়েনাতেই অবসর জীবন যাপন করছিলেন। মরহুমের আত্নার মাগফেরাত কামনা করে অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ভিয়েনার বায়তুল মোকারম মসজিদে গত ৬ মে শুক্রবার বাদ জুমা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
 
ড. এম এ মতিনের মৃত্যুতে লন্ডন প্রবাসী প্রথিতযশা সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কলাম লেখক, একুশের অমর গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী, লন্ডন প্রবাসী বিশিষ্ট লেখক,সাংবাদিক, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত আবদুল মতিন, জার্মানীতে নিযুক্ত এবং অষ্ট্রিয়ার দায়িত্ব প্রাপ্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মসয়ুদ মান্নান, সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী অনিল দাশ গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক এম এ গণি, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ, সহ-সভাপতি জালালউদ্দিন, সৈয়দ মোজামেমল আলী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকতারুজামান চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ড. নূরুন্নবী, যুক্তরাষ্ট্র জয় বাংলা পরিষদের সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ড. মহসিন আলী, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিতাংশু গুহ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি-এর কেন্দ্রয়ি কার্যনির্বাহী পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির রহমান খান, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি-এর জাতীয় কমিটির সদস্য ও অষ্ট্রিয়া শাখার সভাপতি, মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, আই এ ই এ-এর প্রাক্তন আনবিক বর্জ্য বিশেষজ্ঞ ড. শহীদ হোসেন, আই এ ই এ-এর কর্মকর্তা আবদুর রহিম, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক চিকিৎসক ফোরাম এর আহ্বায়ক ড. ফরহাদ আলী খান, সদস্য সচিব ড. বিদ্যুত বড়ুয়া, ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কাসেম, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রশীদ বুলু, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন পলিন, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. মোস্তফা মজুমদার বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মোহামমদ আলী মোল্লা লিংকন, সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী গোলাম আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হুসাইন, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম জসিম, জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসনাত মিয়া, সেপন আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম নয়ন, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খোন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সহ-সভাপতি আবদুল জলিল, আকতার হোসেন, সাইফুল ইসলাম জসিম, সামসুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, এ কে এম সওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল, এমরান হোসেন, ছৈয়াল মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহি দাস সাহা, বিপস্নব হোসেন, সাইফুল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুর রহমান মুক্তা, দপ্তর সম্পাদক এ বি এম মাইনুদ্দিন,ভিয়েনাস্থ বায়তুল মোকারম মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবিদ হোসেন খান তপন, সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার আনোয়ারুল কামাল, ইমাম ও খতিব ফারুক আল মাদানী, ভিয়েনাস্থ আল ফালাহ মসজিদের ইমাম ও খতিব রফিকুল ইসলাম মাদানী, বাংলাদেশ-অষ্ট্রিয়া সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান বকুল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, বাংলাদেশ-অষ্ট্রিয়া সমিতির সাবেক সভাপতি গুলজার হোসেন, মুক্তিযোদ্বা সংসদ অষ্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ড এর নেতা মুক্তিযোদ্বা জোবায়ের খান শুয়, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী বিশিষ্ট বাংলাদেশী আলহাজ হেলালউদ্দিনসহ অষ্ট্রিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
১০ মে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় ভিয়েনার বায়তুল মোকারম মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অষ্ট্রিয়ার বিভিন্ন শহর থেকে শোকার্ত প্রবাসীরা জানাজায় অংশ নেন। জানাজায় অনেককেই অঝোরে কাঁদতে দেখা গেছে। জানাজায় ইমামতি করেন ভিয়েনার বায়তুল মোকারম মসজিদের ইমাম ও খতিব ফারুক আল মাদনী, জানাজা শেষে মোনাজাত করেন ভিয়েনাস্থ আল ফালাহ মসজিদের ইমাম ও খতিব রফিকুল ইসলাম মাদানী । ড. এম এ মতিনের মৃতদেহ দাফনের জন্য ১১ মে বুধবার কাতার এয়ারওয়েজ যোগে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মৃতদেহের সঙ্গে যাচ্ছেন মরহুমের স্ত্রী ফাতেমা মতিন ও পুত্র ফয়সাল ইবনে মতিন। ১২ মে বৃহসপতিবার ভোর ৫ টায় মৃতদেহ ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছার পর সকাল ৯ টায় কল্যাণপুরে ১ম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০ টায় আগারগাঁও আনবিক শক্তি কমিশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর মৃতদেহ নেয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি লক্ষিপুর জেলার রায়পুর থানার দেবীপুর গ্রামে। সেখানে সর্বশেষ জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে তাকে দাফান করা হবে। উল্লেখ্য যে, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ভিয়েনায় তাঁর প্রতিবেশী আমিনুর রহমান মুক্তার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তিনি তাঁকে গ্রামের বাড়িতে পিতা-মাতার কবরের পাশে দাফানের আগ্রহ দেখিয়েছেন। গত ১৩ বছর যাবত ভিয়েনা প্রবাসী ড. এম এ মতিন অষ্ট্রিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যাণে অনেক কাজ করেছেন।