তার সড়ল বিশ্বাষ তাকে এই প্রতারনার ফাদে ফেলেছে। বিষয়টি ইতি মধ্যে ফরিদপুর বাসী জানলেও বরিশাল সিটি মেয়রের এই ঘটনা নগরবাসী কিছুই জানেনা। তবে এ ঘটনার স্বাদ ইতিমধ্যে ফরিদপুর বাসী খুব মজার সাথে গ্রহন করেছে। ২য় বারের মত মেয়র হিরনের কাছে এমপি শেখ সেলিমের ছোট ভাই পরিচয়ে টাকা আনতে গিয়ে র্যাব-৮ এর হাতে ধরা পরে শাহাদাত নামের সেই যুবক।
জানা যায়, গত মাসের শেষের দিকে শাহাদাত নামের এক যুবক মেয়র শওকত হোসেন হিরণের নিকট এমপি শেখ সেলিমের ছোট ভাই শেখ মারুফ পরিচয় দিয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করলে মেয়র হিরণ যাছাই বাছাই না করেই তাকে দাবিকৃত টাকা প্রদান করে। ফরিদপুরের এসএ পরিবহন থেকে শাহদাত ওই টাকা উত্তোলন করে। এরপর একই কায়দায় শাহাদাত মেয়র হিরণের নিকট আবারও ১ লাখ টাকা চাইলে মেয়র হিরনের সন্দেহ হয়। তিনি বিষয়টি জানতে মোবাইল ফোনে শেখ মারুফের সাথে যোগাযোগ করলে মারুফ এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানালে মেয়র বুঝতে পারেন তিনি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। তাৎখনিক তিনি র্যাবকে ঘটনাটি অবগত করেন। এরপর মেয়র হিরণ আবারও এসএ পরিবহনের মাধ্যমে এক লাখ টাকা প্রতারক শাহাদাতের নামে পাঠালে গত রোববার সকালে টাকা উত্তোলনের সময় র্যাব-৮ এর একটি দল তাকে হাতেনাতে আটক করে।
এ ব্যাপারে র্যাব জানায়, মেয়র শওকত হোসেন হিরণ সকালে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পে এসে আটককৃত শাহদাতকে শনাক্ত করেন।