ই-সেন্টারের অপেক্ষায় বরিশালের ২০ ইউপি

(তথ্য সেবা কেন্দ্র ) স্থাপিত হয়নি। ওই সব ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারনে ই -সেন্টার স্থাপন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। বিসিসি বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন ইউনিয়নে ই-সেন্টার স্থাপনের কর্মসূচী হাতে নেয় ২০১০ সালের জুলাই মাসে। কর্মসূচী শেষ হওয়ার কথা এ বছরের জুনে। এ কর্মসূচীর আওতায় দু’বিভাগে ২০৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। বিসিসি ওই সব ইউনিয়নে সৌর শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করছে বলে জানায়।

বরিশালের যে ২০টি ইউনিয়নে ই -সেন্টার স্থাপিত হয়নি সেগুলো হলো বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চরামদ্দি,চরাদি,দুধল,দূর্গাপাশা ও নলূয়া। মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার গবিন্দপুর, আলিমাবাদ,জাঙ্গালিয়া,চরগোপালপুর , দড়িরচর খাজুরিয়া,চানপুর,উলানিয়া,বিদ্যানন্দপুর। মুলাদীতে বাটামারা, নাজিরপুর ও গাছুয়া। হিজলায় মেমানিয়া,ধুলখোলা ও হিজলা-গৌরবদি। বানারীপাড়ার বানারীপাড়া ইউনিয়ন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনা নদীর কারনে হিজলা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ পৌছেঁনি। কালাবদর, মাছকাটা এবং তেতুলিয়া নদী দিয়ে ঘেরা মেহেন্দীগঞ্জের আলিমাবাদ,জাঙ্গালিয়া,চরগোপালপুর ইউনিয়ন। গজারিয়া আর লতা নদী দিয়ে বিভক্ত দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন। হিজলা উপজেলার তিন ইউনিয়নও মেঘনার ওপারে। এছাড়া নদী ভাঙ্গনের কারনে বাকেরগঞ্জের দূর্গাপাশা, মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে মেহেন্দীগঞ্জের গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ অফিস সরিয়ে নিতে হয়।

তবে এসব এলাকার অবস্থাসম্পন্ন লোকজন সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে বহুদিন ধরে। কিন্তু ব্যয়বহুল সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে কম্পিউটার চলেনা। তারা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কবে ই- সেন্টার স্থাপন হবে।

বাকেরগঞ্জের দুধল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান হাবিবুর রহমান জাণান, ইউনিয়নে  তথ্য কেন্দ্র চালু হয়েছে জানার পর থেকে কৃষকরাই তার কাছে বেশী আসছে কৃষির খোঁজ খবর নিতে। কিন্তু কীভাবে তথ্য দেয়া যাবে সে ধারনা ছিলনা তার। বিসিসি এবং প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের প্রশিক্ষনের পর বিষয়টি তার কাছে পরিস্কার হয়েছে।
সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের তথ্য সেবা কর্মকর্তা তুলশী রানী জানান, ই- সেন্টার স্থাপিত হলেও ইন্টারনেট কানকেশন নেই।  এলাকার লোকজনকে তা বোঝানো যাচ্ছিলনা। এখন মডেম পেয়েছি ভালোভাবে কাজ করতে পারবো।