বেকায়দায় পড়ে যেতে পারেন এমপি সরোয়ার

হামলার ঘটনায় বেকায়দায় পরে যেতে পারেন কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডৎ মজিবর রহমান সরোয়ার । বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে রাজনকে দেখতে গেলে তার উপর হামলার বর্ননা করতে গিয়ে রাজন তার উপর সরোয়ারের নির্দেশে ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টাকরেছে বলে  গুরুতর অভিযোগ করেন। জবাবে কেন্দ্রিয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জ ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনের উপর হামলার ঘটনাটি সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সরোয়ার বেকায়দায় পরতে পারেন বলে দাবী বিএনপি নেতৃবৃন্দের ।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের ৬ তলায় ১১নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন নজরুল ইসলাম রাজনকে দেখতে যান বিএনপি’র যুগ্ন মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি’র সিনিয়র সহ- সভাপতি বেগম সেলিমা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা হাফিজ ইব্রাহীম। নেতৃবৃন্দ দীর্ঘক্ষন ধরে সেখানে অবস্থান করেন এবং রাজনের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এক পর্যায় নেতৃবৃন্দ রাজনের মুখ থেকে তার উপর হামলার ঘটনার নেপথ্যের নায়ক মজিবর রহমান সরোয়ার ও তার অনুসারীদের বিষয়ে অবহিত হন। রাজন নেতৃবৃন্দের কাছে জানান, শুধু সাংগঠনিক কর্মকান্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে মজিবর রহমান সরোয়ার তাকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিল। তিনি নেতৃবৃন্দের কাছে ঘটনার বিচার দাবী করেছেন।

এর আগে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মৎস্য বিষয়ক বিএনপির সম্পাদক আহসান হাবীব কামাল, বিএনপি নেত্রী বিলকিস জাহান শিরীন, বিএনপি নেতা এবায়েদুল হক চাঁনসহ নেতৃবৃন্দ রাজনের উপর হামলার ঘটনার জন্যে বিচার চেয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জ ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে। ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনের উপর হামলার ঘটনাটি সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে রাজনের উপর হামলার ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যার দিকে নগরীতে মিছিল  ও সমাবেশ হয়েছে বিএনপি।

একই দিন বিকেলে মজিবর রহমান সরোয়ারের বিরুদ্বে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বিএনপি’র একটি অংশ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। অপরদিকে রাজনের পর মহানগর যুবদল নেতা রুস্তুম আলী মল্লিকের উপর সার্কিট হাউজে কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের সামনে হামলার ঘটনায় তিনি  বাদী হয়ে সরোয়ার অনুসারী আবুল কালাম শাহীন সহ ৭ জনের বিরুদ্বে বুধবার কোতয়ালী মডেল থানায় মামলার আবেদন করেছে। এদিকে সরোয়ার অনুসারী মাইনুল ইসলাম হেলাল বাদী হয়ে রাজন ও কামাল অনুসারী ১০/১২জনের বিরুদ্বে পাল্টা মামলার আবেদন করেছে।