নিজেকে ইজারাদার দাবি করে যুবলীগ ক্যাডারের চাঁদা দাবি

যুবলীগ ক্যাডার ও সেভেন ষ্টার বাহিনীর সদস্য মিলন হাওলাদার। চাঁদা দিতে  অস্বীকার করায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী কামরুল ইসলামসহ দুইজনকে মারধর করেছে। এর প্রতিবাদে টরকী বন্দরের সাধারন ব্যবসায়ীরা ওই দিন বিকেলে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। প্রতিবাদ সভায়    ব্যবসায়ীরা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা  করেন।  

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের লিলি ট্রেডার্সের মালিক কামরুল ইসলাম জানান, গত ৯ মার্চ ঢাকার বকশি বাজারে জনপ্রিয় বাগদাদ ট্রন্সপোর্টের মাধ্যমে ২৫০ বান্ডিল ঢেউটিন বুকিং দেয়। গতকাল শুক্রবার টরকী বন্দর বাসস্ট্যান্ডে বুকিংকৃত মাল খালাস করতে যায়। এ সময় যুবলীগ ক্যাডার ও সেভেন ষ্টার বাহীনির সদস্য মিলন হাওলাদার ও তার সহযোগীরা ইজারার নামে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে ও জনপ্রিয় বাগদাদ ট্রন্সপোর্টের স্থানীয় ম্যানেজার শফিকুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

শুক্রবার দুপুরে লোহজাত ব্যবসায়ী সমিতি টরকী বন্দর বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন হাওলাদার ও আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল হাওলাদারের নিকট বিচার দিতে যায়। বিচার চাওয়ার মিলন ও তার দলবল কামরুল ও শফিকুলের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিন বিকেলে টরকী বন্দরে আক্তারুজ্জামানের গদি ঘরে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কবির সরদারের সভাপত্বিতে প্রতিবাদ ব্যবসায়ীরা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা  করেন।  

এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মো. হারিছুর রহমান বলেন, অভিযোগটি খুবই গুরুতর। আমি বিষয়টি শুনেছি, দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করতেছি। এলাকায় ফিরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। টরকী বন্দর বনীক সমিতির সাধারন সম্পাদক হারুন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,সড়ক পথে ট্রান্সপোর্টের মালে কোনদিন ইজারা দিতে হয়নি। অবৈধ ভাবে বি,আই,ডব্লিউ,টিএ ইজারদার দাবি করে মিলনের টাকা চাওয়া অযুক্তিক। অভিযোগ অস্বীকার করে মিলন হাওলাদার বলেন, কামরুল ও শফিকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে।