প্রক্টরসহ পাঁচসহকারীর পদত্যাগ – কোণঠাসায় শাবির ভিসি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ. সালেহ উদ্দিন। তিনি এখন অনেকটা একাকী হয়ে গেছেন। তার পাশে নেই কেউ। একদিকে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের অসহযোগিতা, অন্যদিকে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের একাংশের বিদ্রোহ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এস এম সাইফুল ইসলামসহ পাঁচ সহকারী প্রক্টর পদত্যাগে ভিসি অনেকটা একা হয়ে পড়েছেন। তবে ভিসির অনুরোধে প্রক্টর তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নিবেন বলে জানা গেছে। এর পাশপাশি ভিসিবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সেই ত্যাগী শিক্ষক নেতারা নিজেদের গুটিয়ে নেয়ায় চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে প্রশাসন। সবমিলিয়ে অনেকটাই টালমাটাল এখন শাবি প্রশাসন। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতা ও আদর্শগত দ্বন্দ্বের কারণে বাম ও আওয়ামী শক্তিতে ফাটল দেখা দেয়।

বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে দুর্নীতিবাজ ভিসি মুসলেহ উদ্দিনবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী কয়েক শিক্ষককে জামায়াতের চর আখ্যা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্যানেল থেকে বের করে দেয়াকে কেন্দ্র করে মূলত ভাঙনের সূত্রপাত। পাশপাশি নব্য প্রগতিশীল শিক্ষকদের একাংশকে প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে বহাল ও সেই বিতর্কিত ভিসির সহযোগীদের বিচার না করে উল্টো ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়ানোর সুযোগ করে দেয়া মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ প্যানেলে ভাঙনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। আবার কখনও কখনও শিক্ষকদের সঙ্গে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি’ আচরণের কারণে সচেতন শিক্ষকদের একটা বিরাট অংশ প্রশাসনে আস্থা হারিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি মূলত বামদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় আওয়ামী শিক্ষকদের মধ্যে অনেকটা ক্ষোভ ও হতাশার জ দিয়েছে। যা বিগত শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে প্রভাব ফেলে। ওই নির্বাচনে বাম ও আওয়ামী শক্তির মধ্যে প্রকাশ্য বিভক্তি দেখা দেয়। তখন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির পক্ষ থেকে পৃথক দুটি প্যানেল দেয়া হয়।

নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, আওয়ামী শিক্ষকদের একটা বিরাট অংশ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক প্যানেল থেকে বেরিয়ে নতুন সংগঠন করার চিন্তাভাবনা করছেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ করার জন্য শিক্ষক নেতারা এরই মধ্যে তাদের প্রচারণা শুরু করেছেন। এর আগে শিক্ষকদের একটি অংশ ওই প্যানেল থেকে বেরিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় উদ্বুদ্ধ প্যানেলের অধীনে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনও করেছেন।