বিষপান করিয়ে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ

হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গৃহবধুর লাশের ময়না তদন্ত শেষে পুলিশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে।

জানা গেছে, পিরোজপুর শহরের জাতকাঠি এলাকার সাহেবপাড়ার সৌদি প্রবাসী শহিদুল ইসলামের কন্যা লতিফা (১৮)। কয়েক মাস আগে পরিবারের সন্মতিতে বরিশাল নগরীর রুপাতলী এলাকার হাবিবুর রহমানের পুত্র ব্যাবসায়ী নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাকে তুলে নেয়ার পর থেকে যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময় স্বামী অমানুষিক নির্যাতন চালাতো। বিষপান করেছে বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লতিফাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বামী ও তার পরিবার । রাত ৯টায় লতিফা শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যুবরন করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তারিমুল ইসলাম গৌরনদী ডটকম-কে জানিয়েছেন বিষপানের ৩ ঘন্টা পর লতিফাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এজন্য তাকে বাচানো সম্ভব হয় নি।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে লতিফার খোঁজ খবর নিতে পিরোজপুর থেকে ফোন করেন তার মা মাসুদা বেগম ও খালা রাশিদা বেগম। গভীর রাত পর্যন্ত বেশ কয়েক বার ফোনে স্বামী নজরুল তাদেরকে জানিয়েছে লতিফা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। রাতে লতিফা মারা যাওয়ার বিষয়টিও জানায়নি পাষন্ড স্বামী। সকালে আবার ফোন করলে লতিফার স্বজনকে জানায় সে বিষপানে মারা গেছে।

লতিফার খালা রাশিদা বেগম সেল ফোনে গৌরনদী ডটকম-কে বলেন, বিয়ের পর থেকে লতিফার উপর শারীরিক নির্যাতন করত স্বামী নজরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা। বিয়ের কয়েক দিন পর যৌতুকের দাবীতে লতিফাকে খাট থেকে লাথি মেরে ফেলেও দিয়েছিল। বার বার ফোন দিয়ে লতিফার কি হয়েছে জানার চেষ্টা করলে তারা বলেছে অসুস্থ হয়েছে। রাতে মারা যাওয়ার খবরটি না জানিয়ে শুক্রবার সকালে তারা জানিয়েছে।
খালা রাশিদার দাবী পাষন্ড স্বামী জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে লতিফাকে হত্যার শিকার করে। এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিবেন বলে মন্তব্য করেন রাশিদা।