ইজ্জত রক্ষার্থে গৃহবধু জেসমিনের লড়াই

খেয়েও ধর্ষকের হাত থেকে নিজের ইজ্জত বাঁচিয়ে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। রাতের আঁধারে প্রায় ১ ঘন্টা নিরস্ত্র গৃহবধু লড়াই করেছে ধারালো চাকু হাতে এক নরপশুর সাথে। নরপশু সুন্দরী গৃহবধুকে ধর্ষণ করতে না পেরে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের উজিরপুর উপজেলা সদরের উত্তর মাদার্শী গ্রামে। জানা গেছে, ঐ গ্রামের জাকির হাওলাদারের সুন্দরী কন্যা জেসমিনকে ৪ বছর আগে বিয়ে দেয় বড়াকোঠার নরসিংহা গ্রামে আবু সালেক হাওলাদারের সাথে। স্বামী সালেক ঢাকায় একটি গার্মেন্টস কোম্পানীতে চাকুরী করার কারণে জেসমিন একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে নিরাপদে থাকার আশায় পিত্রালয়ে উত্তর মাদার্শী গ্রামে বসবাস করে। গত ১৩ই মে শুক্রবার গৃহবধুর পিতা মাতার অনুপস্থিতিতে ঘরে জেসমিনকে একা পেয়ে বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। জেসমিন চিনতে পারলে নরপশু জেসমিনকে ধারালো চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৮/১০ টি আঘাত করে।

জেসমিন গুরুতর আহত অব্স্থায় ডাক চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ছুটে আসলে নরপশু পালিয়ে যায়। বাড়ির লোকজন অজ্ঞান অবস্থায় উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করে। জেসমিন জানিয়েছেন, তার চাচাত ভাই রফিক তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে ও তাকে চিনে ফেললে আমাকে কুপিয়ে জখম করে এবং ৮/১০ দিন আগে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিল। জেসমিনের পিতা জাকির হাওলাদার জানিয়েছেন তার ঘরে থাকা নগত ২৪ হাজার টাকাও লুটে নেয় রফিক। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।