বিজিবি সদস্য আবুল কাসেমের ক্ষমতার দাপট

আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে অনৈতিক, অসামাজিক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। সে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র ২৪ ব্যাটালিয়নের সদস্য। এ বাহিনীতে চাকরি করা সত্ত্বেও সে মাসের পর মাস ছুটি ভোগ করছে। আর ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে হরহামেশা তার ঘরে ইচ্ছেমতো জুয়ার আসর বসায়। জুয়ার আসরের পাশাপাশি রাতে বসে মদ গাঁজার আসর। এছাড়া এলাকার মাস্তানদের জন্য মহিলাদের নিয়ে করা হয় অসামাজিক আয়োজন। এসব অনৈতিক, অসামাজিক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরোধিতা করার সাহস কারো নেই। আবুল কাসেম বীরদর্পে এসব অপরাধ করে যাচ্ছে। এলাকার প্রশাসনও নীরব। আবুল কাসেমের এই ক্ষমতার দাপটের উৎস কোথায় এলাকার মানুষ তা জানতে চায়। এ ব্যাপারে এলাকার মানুষ স্থানীয় থানা প্রশাসনকে দায়ী করছেন। আবুল কাসেমেরে অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ না হলে এলাকার মানুষ যেকোন সময় ফুঁসে উঠতে পারে। আর এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত মোঃ শামছের আলী মুন্সীর ছেলে মোঃ আবুল কাসেম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র হেড কোয়ার্টার পিলখানার ২৪ ব্যাটালিয়ানের একজন সদস্য। তার ব্যাচ নম্বর ৩৭৫৭ এবং পদবি পাচক। সে বিজিবিতে চাকরির ক্ষমতায় দেখিয়ে এলাকায় অনৈতিক কার্যকলাপ ও  সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। তার ভয়ে এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। এমনকি তার ভয়ে এলাকায় কেউ  টু-শব্দ করার সাহসও পায়না। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললেই ক্রস ফায়ারের হুমকি দেয়। এমনকি এলাকার অনেককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হযরানি করছে। এসব কারণে এলাকর  মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এলাকার মানুষ জানিয়েছে, বছরজুড়ে আবুল কাসেম বাড়িতে থাকে। সে চাকরি করে কখন। তার চাকরিটা বা কি! আসলেই সে বিজিবিতে চাকরি করে কিনা। এমনসব নানা প্রশ্ন এলাকার মানুষের মুখে মুখে। কারণ বিজিবি’র মতো একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর গুরুত্ব অনেক। এরকম একটি সংস্থায় চাকরি করে মাসের পর মাস ছুটিতে কিভাবে বাড়ি আসে। আর বাড়ি আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে জুয়ার আড্ডা বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া। এলাকার অনেক যুবক তার খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে। এলাকার বাইরে থেকে এসে অনেকেই সর্বস্ব খুইয়ে চুপচাপ চলে যেতে হয়। আবুল কাসেম জুয়ার আসরে লোকজন হায়ার করার জন্য ইতোমধ্যে এলাকায় অনেক দালাল ফিট করেছে। এসব দালাল কমিশনে লোকজন হায়ার করেন। শুধু জুয়ার আসর বসিয়ে ক্ষান্ত হয়নি আবুল কাসেম। সে রীতিমতো মদ ও গাঁজার আড্ডার আয়োজন করছে। আর এসব অনৈতিক কার্যকলাপ চালায় তার নিজের ঘরে।

এদিকে অবৈধ পথে আয় করা টাকার গরমে সে দিশেহারা। এলাকায় জোর করে মানুষের জমি কিনছে। আবার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে  অনেকের জমি জোর করে ভোগ দখল করছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে বড়ইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরউজ্জামান (মনির) এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিকে) মুঠোফোন পাওয়া যাযনি। তবে ওই সময় থানার দায়িত্বে থাকা এসআই মোঃ বাদল  এ ব্যাপারে পরে ফোন করতে বলেন।