বিএম কলেজে আবারও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মহড়া

খুলে দেয়া হয়েছে। প্রথম দিনেই ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মহড়ায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। সকাল থেকে উভয় গ্রুপের সশস্ত্র বহিরাগত ক্যাডাররা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। সহিংসতার আশংকায় ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের দাবীতে আগামী ২০ মে থেকে কলেজে ধর্মঘটের ডাক দিলেও অপর গ্রুপ তা প্রত্যাখ্যান করছে। কলেজ সুত্রে জানা গেছে, ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের ইস্যুতে গত ২৯ এপ্রিল অধ্যক্ষের রুমে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই যুগ্ন আহ্বায়কের মধ্যে হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি মামলার জের ধরে তার পরের দিন শনিবার উভয় গ্রুপ ক্যাম্পাসে সশস্ত্র মহড়া দেয়। ঐ দিন বহিরাগতদের উপস্থিতিতে আতংক ছড়িয়ে পড়ে গোটা ক্যাম্পাসে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ২ মে একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরী সভায় আগামী ১২ মে পর্যন্ত কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত রাখা হয়। সহিংসতার আসংকায় সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল পৌনে ১১ টায় মঈন তুষার সমার্থকরা কলেজের মসজিদ গেট থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে মহড়া দিতে থাকে। বেলা সাড়ে ১১ টায় রফিক সেরনিয়াবাতের সমর্থকরা শহিদ মিনার গেট থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মহড়া চলাকালীন দুই গ্রুপ মুখোমুখি হতে চাইলে পুলিশ ও কলেজ প্রশাসন তাদের সরিয়ে দেয়। মহড়ায় উভয় গ্রুপের সাথেই বহিরাগতদের দেখা গেছে। বেলা সাড়ে ১১ টায় কর্তব্যরত এএসআই ইরান ক্যাম্পাস থেকে নিহাব নামে এক ছাত্রকে ধারালো অস্ত্রসহ ধরে ফেললেও পরে তাকে রহস্যজনক কারনে ছেড়ে দেয়। তবে এএসআই ইরান এ ঘটনা অস্বীকার করেছেন।

ছাত্র ধর্মঘটের ব্যাপারে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মঈন তুষার বলেন, কর্তৃপক্ষ বাকসু নির্বাচন দিতে তালবাহানা করায় কলেজের অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়ে ২০ মে থেকে ছাত্র ধর্মঘট চলবে। তবে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক রফিক সেরনিয়াবাত জানিয়েছেন, আমরা সুষ্ঠ পরিবেশে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই। তবে নির্বাচনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হলে সাধারন ছাত্রদের নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে। এব্যাপারে কলেজ অধ্যাক্ষ প্রফেসর ডঃ ননী গোপাল দাস জানিয়েছেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন বহিরাগত ঠেকাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে নির্বাচন বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।