বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত

দোকানে উঠে পড়লে ঘটনাস্থলে এক তরুণীসহ ২ জন নিহত হয়েছেন।রোববার রাত সাড়ে ৯টায় বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্টিল পোলের দক্ষিণ পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- বাসের হেলপার মামুন সিকদার (২৮)। তিনি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার লামনা গ্রামের জয়নাল সিকদারের ছেলে।তবে বাসযাত্রী নিহত তরুণীর পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।এসময় শর্টসার্কিটে দোকানটিতে আগুন লেগে যায়।এতে সব মিলিয়ে মহিলাসহ প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছেন।এরই ফাঁকে বাসে থাকা ৩ ঝুড়ি ইলিশ মাছ সুযোগসন্ধানী কয়েক ব্যক্তি লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আহতদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে গুরুতর ১৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।এরা হলেন তাছলিমা (৪০), শহীদ (৪৫), মোস্তফা (৬৮), আনোয়ারা বেগম (৫৫), কালাম (৩৫), আলামিন (২৮), রোমান (২৬), সালাম হাওলদার (৭২), ইমরান (২৫), বশার (২৮), নাঈম (২৩) ও বাস যাত্রী হারুন (৩৮) ও সাইফুল ইসলাম (২৫)।এদের মধ্যে মোস্তফা ও শহীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. দাস রণবীর।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, বরগুনা আমতলী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী মেঘনা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৪০৯৬৮) পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল।দ্রুতগতি থাকায় বাসটি বাকেরগঞ্জ পৌঁছে স্টিল ব্রিজ পার হওয়ার আগেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা দুটি চায়ের দোকানে উঠে খাদে পড়ে যায়।এতে ঘটনাস্থলেই বাসের হেলপারসহ এক যাত্রী নিহত হন।আহত হন দোকানে থাকা ক্রেতা ও বাসযাত্রীসহ প্রায় অর্ধশত।

প্রত্যক্ষদর্শী শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আতাউর রহমান রোমান জানান, ঢাকাগামী মেঘনা পরিবহনের একটি বাস দ্রুত গতিতে খোকনের বন্ধ দোকান ভেঙে শহীদের চায়ের দোকানে উঠে গিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে দোকানের বিদ্যুৎ লাইনে আগুন ধরে যায়। ভস্মীভূত হয় দোকানটি। এসময় তারা শহীদের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। বাসের গতি দেখে লাফ দিলে প্রাণে বেঁচে যান তারা। এতে সব মিলিয়ে অনন্ত অর্ধশত আহত হয়েছেন বলে জানান রোমান।