চরফ্যাসনে পেশীশক্তি খাটিয়ে টেন্ডারবাজির অভিযোগ

প্রায় ৮ কোটি টাকার দু’টি ভবন নির্মাণ কাজে টেন্ডারবাজির অভিযোগ উঠেছে।

একদিকে গোপনে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, অন্যদিকে সিডিউল বিক্রির সময় পেশীশক্তি ব্যবহার করে সাধারণ ঠিকাদারদের সিডিউল ক্রয়ে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ সাধারণ ঠিকাদারদের।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকাদার ছাড়া অন্য কোনো ঠিকাদার কোনো কাজই করতে পারছেন না। স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সরাসরি হস্তক্ষেপে গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের র্র্কর্তাব্যক্তিরা। এতে করে ঠিকাদাররা টেন্ডারে অংশগ্রহণ না করতে পেরে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।  জানা যায়, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অধিনে চরফ্যাসন উপজেলার আদালত ভবন নির্মাণ ও সাবরেজিস্ট্রার ভবন নির্মাণ কাজের দুই গ্রুপে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। দুই গ্রুপে কাজে ব্যয় হবে প্রায় ৮ কোটি টাকা। রোববার ছিলো দরপত্র জমাদানের শেষ দিন। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে কাজটি পাইয়ে দেয়ার জন্য ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলে পাওয়া যায় না এবং প্রচার সংখ্যা অতি নগণ্য এমন দু’টি জাতীয় বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি অতি গোপনিয়তা রক্ষা করা হয়। ফলে কোনো ঠিকাদার দরপত্র ফরম ক্রয় করতে পারেনি।

তবে গতকাল রোববার ভোলা গণপূর্ত অফিসে পুলিশ অবস্থান নেয়ায় গোপন টেন্ডারের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। জানা যায় ৮ কোটি টাকার কাজের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করছেন স্থানীয় এমপি। এ কারণে কেউ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।গণপুর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান জানান, চরফ্যাসনের আদালত ভবন ও সাব রেজিস্ট্রার ভবন নির্মাণের দুই গ্রুপের কাজে ৩টি করে মোট ৬টি সিডিউল জমা পড়েছে।ভোলা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহি প্রকৌশলী মানিক লাল দাস সাংবাদিকদের জানান, নীতিমালা মেনেই দপ্তরের তালিকাভুক্ত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। ওয়েবসাইটেও বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। তাদের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।