কালকিনিতে ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

ধান কাটা নিয়ে দুই পক্ষের পৃথক সংঘর্ষে ১জন নিহত ও অন্তত ৩০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২জনের অবস্থা গুরুতর আশঙ্গাজনক। সংঘর্ষকালে সম্ভাব্য এক চেয়ারম্যান প্রার্থীরসহ ২টি বাড়িঘর ভাংচুর ও অর্ধশতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করেছে বিক্ষুদ্ধরা। সংঘর্ষের আড়াই ঘন্টা পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিড়াজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এনায়েত নগর ইউনিয়নের কালাই সরদারের চর গ্রামে সকাল সাড়ে ৬টায় বিরোধপূর্ন জমিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধান কাটতে যায় কুখ্যাত ডাকাত কাশেম বাহিনীর লোকজন। সাম্প্রতিক হামলা পাল্টা হামলার শিকার পুলিশের ভয়ে এলাকা ছাড়া লোকজন খবর পেয়ে ধান কাটতে বাঁধা দেয়। কাশেম বাহিনীর লোকজন জমি থেকে বাড়িতে ফিরে এসে মারণাস্ত্র নিয়ে বাঁধা দেয়া জমির মালিকদের উপর হামলা চালায় এবং সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দলিল উদ্দিন তালুকদার ও বাদল তালুকদারের বাড়িঘর ভাংচুর করে। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলা পাল্টা হামলায় অর্ধশতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটলে চারিদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। কাঞ্চন তালুকদার(৪০) ও আজিজুল মৃধার(২৫) পাঁয়ের রগ কেটে দেয়ায় তাদের আশঙ্গাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ফারক মৃধা(২৬), আলী হোসেন(৩৫), কবির মৃধা(৪৫), মিরাজ মৃধা(৩৭), কামাল কাজি(২৫) ও বশার কাজিকে(৩০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কবির খাঁর ছেলে মিজান খাঁকে(২২) ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

আড়াই ঘন্টা পড়ে সংঘর্ষের শেষে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের এসআই ইমতিয়াজ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে আগেই ইনফরমেশন(তথ্য) ছিল, এরকম সংঘর্ষ ঘটবে।’

সরেজমিনে গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, কয়েক দিন পূর্বে এ এলাকায় হামলা, পাল্টা হামলায় শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তেমন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এখন বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে। মাঝেমধ্যে পুলিশ কোন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে না পারলেও উপর মহলকে দেখাতে নিরহ গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়ে দেয়।

এদিকে সকাল ৭টায় পৌর এলাকার চর ঝাউতলা গ্রামে এচাহাক হাওলাদার বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান কাটতে গেলে কলম হাওলাদারের লোকজন বাঁধা দেয়। এতে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আজিজ বেপারী(৩০), আজিজ হাওলাদার(৩২), দুলাল বেপারী(৩৫), আবুল সরদার(৩৫) ও আজিজুল হাওলাদার(১৮)সহ ১০জন আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।