কালকিনিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪১জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঐ দিন রাতেই ৪১জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এনায়েত নগর ইউনিয়নের কালাই সরদারের চর গ্রামে রবিবার সকালে বিরোধপূর্ন জমিতে ধান কাটতে যায় কুখ্যাত ডাকাত কাশেম বাহিনীর লোকজন। খবর পেয়ে একই এলাকার বাদলা তালুকদারের লোকজন ধান কাটতে বাঁধা দেয়। কাশেম বাহিনীর লোকজন জমি থেকে বাড়িতে ফিরে এসে মারণাস্ত্র নিয়ে বাঁধা দেয়া জমির মালিকদের উপর হামলা চালায় এবং সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দলিল উদ্দিন তালুকদার ও বাদল তালুকদারের বাড়িঘর ভাংচুর করে। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলা পাল্টা হামলায় অর্ধশতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটলে চারিদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। সংঘর্ষকালে কাশেম বাহিনীর লোকজন প্রতিপক্ষের কবির খাঁর ছেলে মিজান খাঁর(২২) পাঁয়ের রগ কেটে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে। মৃত্যুর খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে কাশেম বাহিনীর লোকজন এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়।

সংঘর্ষে নিহতের বাবা কবির খাঁ বাদী হয়ে ঐ দিন রাতে কাশেম বাহিনীর প্রধান কাশেম তালুকদারকে প্রধান আসামী করে ৪১জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা (১০/২০১১ইং) দায়ের করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

এদিকে সংঘর্ষের পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় একই ইউনিয়নের খালেকের হাটে জনতার হাতে আটকৃত আবুল কালাম বয়াতীকে সোমবার সকালে ৫৪ধারায় সন্দেহমূলকভাবে আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।

কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম শাহীন মন্ডল জানান, ‘এজাহারভূক্ত আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সংঘর্ষের পরই আসামীরা এলাকা ছাড়া হওয়ায় গ্রেফতার করতে সমস্যা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই উক্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়ের করা হয়েছে।’