জানোয়ার বটে!

হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী স্থানীয় মসজিদের ইমাম কর্তৃক ধর্ষীত হয়। এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছে।

স্থানীয় ও ধর্ষীতা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের উত্তর কোলচরি সস্তাল এলাকার এক কৃষকের মেয়ে স্থানীয় ব্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী (৯) শনিবার সারা দিন বাড়িতে কাজ করার পর সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী আড়িয়াল খাঁ নদীতে গোসল করতে গেলে স্থানীয় মসজিদের ইমাম একই এলাকার আবেদ আলী ঢালীর ছেলে খোকন ঢালী (৪০) ফুসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। নির্মম শারীরিক নির্যাতনে ওই ছাত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে ভয়ে খোকন ঢালী স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।

পল্লী চিকিৎসক ডা. মোস্তফা জানান, ‘গোসল করতে গিয়ে ওই মেয়েটি যৌনাঙ্গে আঘাত পেয়েছে বলে আমার কাছে আনলে একটি ইনজেকশন পুশ করি। অবস্থা এমনই বেগতিক ছিল যে তাতেও কাজ না হওয়ায় ওর বাবা-মাকে খবর দিয়ে দ্রুত মাদারীপুর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেই। শিশুটির সাথে এ রকম ন্যাক্কার জনক কাজের কঠিন বিচার হওয়া উচিত’।

মাদারীপুর নিরাময় ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী এ প্রতিবেদককে জানায়, ‘গোসল করার পরই খোকন ঢালী নদীর পাড়ে এসে দুরে মেশিন আনতে যাবে বলে আমাকে নিয়ে যায়। এরপর আজেবাজে বলে মুখ টিপে ধরে  ধর্ষণ করেছে। ব্যথায় আমি এখনো মরে যাচ্ছি’।

উক্ত ক্লিনিকের চিকিৎসকরা জানান, ‘মেয়েটি যৌনাঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হওয়া শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই সুস্থ্য হতে কিছু দিন সময় লাগবে।’

কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম শাহীন মন্ডল বলেন, ‘এ রকম ঘটনার কোন অভিযোগ নিয়ে এখনো কেউ আসেনি। অভিযোগ নিয়ে আসলে অবশ্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ধর্ষীতার বাবা জানান, ‘নরপশু ধর্ষক এলাকা ছাড়া রয়েছে। মেয়েটি একটু সুস্থ্য হলেই মাদারীপুর জেলা আদালতে মামলা করা হবে।’