গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করলে পদ্মা সেতু আমাদের টাকায়ই করতে পারব

মুখের জন্য ২ লাখ টন বাড়তি খাদ্য দরকার। তাই জমিতে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে উৎপাদন বারাতে হবে। এজন্য গুড়া ইউরিয়ার পরিবর্তে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার অধিক দরকার। গুটি ব্যবহারে আথিৃক সাশ্রয়, অধিক ফলন দেয় এবং পরিবেশ বান্ধব। এক কেজি ইউরিয়া চাষির হাত পর্যন্ত পৌছাতে সরকারের ব্যয় হয় ৫৫ টাকা।সরকারী ভর্তুকির মাধ্যমে চাষিরা পায় তা ১২ টাকায়। আমেরিকার জনগনের অর্থ ও দেশীয় প্রযুক্তির সহায়তায় এখন দেশেই গুটি ইউরিয়া তৈরী করা হয়। দেশে ২ বছর সকল কৃষক গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করলে গুড়া ইউরিয়ায় সরকারের গচ্ছা দেয়া অর্থে পদ্মা সেতু আমাদের টাকায়ই করতে পারব, এজন্য জাপান থেকে টাকা আনতে হবেনা। দেশের দক্ষিন এলাকার ১১ টি ও উত্তর বঙ্গের ২ টি জেলার ৮ লাখ কৃষক এবছর গুটি ইউরিয়া ব্যবহারের আওতায় নেয়া হয়েছে। গতকাল  বুধবার সকালে শষ্য কর্তন ও মাঠ দিবসের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথীর বক্তব্যে ড.শাহারুল আহম্মেদ একতাগুলো বলেন। বরিশালের  আগৈলঝাড়ায় কৃষি উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন ত্বরান্বিত করণ প্রকল্প (আপি) কতৃক আয়োজিত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় প্রদর্শনী প্লট এ শষ্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে দাসেরহাট স্কুল মাঠে আয়োজিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসীম সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথী ছিলেন আপি প্রকল্পের কেন্দ্রীয় সিনিয়র স্পেশালিস্ট ড.শাহারুল আহম্মেদ। বিশেষ অতিথী ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈ। আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, উপ-সহকারী  কৃষি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান, গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লাল্টু, প্রধান শিক্ষক সরদার শাহ আলম, আপি প্রকল্পের উপজেলা ফিল্ড মনিসটরিং অফিসার ইকবাল হোসেন, কৃষক আলমগীর হোসেন ও জাহাঙ্গীর সরদার প্রমুখ। এসময় মধ্য শিহিপাশা গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেনের ৫ শতক জমির প্রদর্শনী প্লটে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করে গড়ে ১০ বর্গ মিটার জমিতে ১০.৬২ কেজি ও জাহাঙ্গীর সরদারের ৫ শতক জমিতে ১০ বর্গ মিটারে গড়ে ৯.৬ কেজি ধান কাটা হয়। হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ১০.৬২ মে.টন।