আগৈলঝাড়ায় বিদ্যুৎ কর্মীদের লাঞ্ছিত

জানালেও কর্মীরা এলাকায় যায়না। বাতাস হলে বিদ্যুৎ যে বন্ধ হয় তা কবে আসবে কারো জানা নেই। বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এমন খামখেয়ালীর কারণে জনরোষের স্বীকার হয়ে কর্মীদের লাঞ্ছিত হবার ঘটনাও ঘটছে। নিয়মিত লোডশেডিং ছাড়াও গাছের ঠাল কাটা সহ বিভিন অযুহাতে ঘন্টা থেকে কয়েক দিন চলে গেলেও কর্মীদের দেখা পাওয়া যায়না। এমন ঘটনায় গত সোমবার বাশাইল ও রাংতা গ্রামে বিক্ষুদ্ধ জনগনের হাতে বিদ্যুৎ কর্মীরা লাঞ্ছিত হয়েছে। গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরুতেই আগৈলঝাড়ায় বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। দিনে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। গভীর রাতের লোডশেডিংও অসহনীয় পর্যায়ে চলেগেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে দিনে ও রাতে গড়ে ৪ ঘন্টার বেশী বিদ্যুৎ পাচ্ছেনা গ্রাহকরা। ৫/১০ মিনিট পরপর বিদ্যুৎ যাওয়া আসা যাওয়ায় এবং ভোল্টেজ ওঠা-নামার কারনে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। সন্ধ্যার পর ক’য়েক ঘন্টায় দফায় দফায় চলে একটানা ক’য়েক ঘন্টা লোডশেডিং। গৌরনদী থেকে পল বিদ্যুতের জোনাল অফিস আগৈলঝাড়ায় স্থানান্তরিত হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বা গ্রাহকসেবার মান এতটুকুও  বাড়েনি। ঘণ ঘণ বিদ্যুৎ যাওয়া আসার ফলে টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটারসহ মূল্যবান ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। এই অনিয়ন্ত্রিত ও লাগাতার লোডশেডিং-এর কারণে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। সন্ধ্যায় চলে যাওয়া বিদ্যুৎ মাঝেমধ্যে গভীর রাতে দু’একবার আসে। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ অফিসে বারবার ফোন করেও এর কোন প্রতিকার পায়না গ্রাহকরা, এমনকি ফোন রিসিভ করে গ্রাহকদের সাথে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা কথাও বলেননা। অনেক সময় তাদের মোবাইল বন্ধ করে রাখারও অভিযোগ রয়েছে। কর্মীদের বিভিন্ন অনিয়ম – অভিযোগের ব্যাপারে ডিজিএম রঙ্গলাল কর্মকার অস্বীকার করে বলেন, তার কাছে কেউ অভিযোগ দিচ্ছেনা। দিলে তিনি তার সমাধান ও কর্মীর ব্যবস্থা নেন।