বিয়ের আসর থেকে কনের পলায়ন – রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

৬দিন পর কনে ও প্রেমিকের দু’বংশের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল, দুপুর ও বিকেলে তিন দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মহিলাসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৩০ জনকে দু’হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত মোহনকাঠী গ্রামে।  

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের কুশাই বৈরাগীর কন্যা ঝুমুর বৈরাগীর (১৮) সাথে পাশ্ববর্তী বারপাইকা গ্রামের সুনীল কির্তনীয়ার পুত্র কৃষ্ণ কান্ত কির্তনীয়ার সামাজিকভাবে গত ১৩ মে বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। নির্ধারিত দিন রাতে ৪০ জন বরযাত্রী আসে কনের বাড়িতে। বিয়ের আসরে বসার পূর্ব মুহুর্তে কনে ঝুমুর তার প্রেমিক পাশ্ববর্তী বাড়ির শ্রীকান্ত হালদারের পুত্র রিপন হালদারের সাথে পালিয়ে যায়। বিয়ের আসর থেকে কনে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আগত বরযাত্রীদের সাথে ওইদিন কনে পক্ষের লোকজনদের বাকবিতন্ডা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঝুমুরের বাবা কুশাই বৈরাগীর নেতৃত্বে তার সহযোগীরা প্রেমিক রিপনের কাকা সুশান্ত হালদার ও গৌরাঙ্গ হালদারের ওপর হামলা চালায়। মুহুর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পরলে প্রেমিক রিপনের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝুমুরের বাবা ও তার সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। গতকাল বৃস্পতিবার সকাল, দুপুর ও বিকেলে তিনদফায় উভয়গ্র“প দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় গ্র“পের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত সুশান্ত হালদার, মঞ্জু রানী, রনজিত হালদার, গৌরাঙ্গ হালদার, কমলা রানী, কৃষ্ণ কান্ত হালদার, উর্মিলা রানী, ভবরঞ্জন, প্রবীর, শান্তনা রানী, স্বপন, উত্তম হালদার, রবি, দুলাল হালদার, নমিতা, প্রদিপ, ভবতোষ, সুখী, রঞ্জু, সাগর হালদারকে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ও মন্টি হালদার, রেঞ্জু, কদমী রানী, কৌশিক হালদার, অনিতা হালদার, পাঙ্গাসী হালদার, শোভা হালদার, শেফালী রানী, শিখা, রানী, ফালান, রমনীকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় এখনো চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।