বরিশালে ছাত্রলীগের হিরন পন্থীদের সশস্ত্র মহড়া

শওকত হোসেন হিরন সমর্থিত ছাত্রলীগের সশস্ত্র মহড়া দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে রাতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক কাজী মুনীর উদ্দীন তারিককে মারধরের পর এ মহড়া শুরু হয়।

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে বিএম কলেজ ক্যাম্পাস,নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল,আমতলার মোরসহ নগরীর গুরুত্ব পূর্ন স্থানে ছাত্রলীগের হিরনপন্থী সমর্থকরা অনেকটা যুদ্ধাংদেহী অবস্থায় অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে বিএম কলেজে ক্যাম্পাসে টানটান উত্তেজনা চলছে। বিপরীতদিকে সাবেক চীফ হুইফ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র সমর্থকরা মহড়া না দিয়ে সংঘবদ্ধ হচ্ছে।

বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ছাত্রনেতা তারিককে মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মাঝে উত্তেজনা চলছে। বিএম কলেজসহ কয়েকটি স্থানে মটরসাইকেলে মহড়া দেয়ার খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। তিনি আরো জানান পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যেকোন অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ টহল দিচ্ছে।

রাত ৯টার দিকে নগরীর ফকির বাড়ি রোডে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক কাজী মুনীর উদ্দীন তারিককে একা পেয়ে বেধম মারধর করেছে বাকেরগঞ্জ ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপ। এই বিদ্রোহী গ্রুপকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হিরনপন্থী ছাত্রলীগ নেতা বিএম কলেজ শাখার যুগ্ন আহবায়ক মঈন তুষার ও নাহিদ সেরনিয়াবাদ। কাজী মুনীর উদ্দীন তারিকও জানিয়েছেন তুষার ও নাহিদের নেতৃত্বে বাকেরগঞ্জ ছাত্রলীগের উশৃঙ্খলরা তার উপর হামলা চালিয়েছে।

বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক নাহিদ সেরনিয়াবাদ জানিয়েছেন তারা তারিকের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। তবে বাকেরগঞ্চ ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তুষার জানিয়েছেন তারা কোন মহড়া দিচ্ছেন না। প্রসঙ্গত সোমবার রাতের এক সিদ্ধান্তে  সাইফুল ইসলাম ডাকুয়াকে সভাপতি, সৈয়দ রিপনকে সাধারন সম্পাদক করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করে। এ কমিটির পাল্টা হিসাবে বিদ্রোহী গ্রুপ এসএম আতিক কে সভাপতি ও এইচএম সাইফুর রহমান শাহানকে সাধারন সম্পাদক করে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসানাত সমর্থক ছাত্রনেতা মুনীর উদ্দীন তারিককে মারধর করা হয়েছে।