প্রেমের নামে পলাশপুরের সাগরের ব্লাক মেইল

ইজ্জত-সম্ভ্রমের (পন্য ভিডিও) মূল্য ধরা হয়েছে ২ লক্ষ টাকা। স্থানীয় দুই কাউন্সিলর প্রতারিত কন্যার জন্য এই ক্ষতিপূরন নির্ধারন করেন। কিন্তু প্রেমের নামে প্রতারনা করে দেহ ভোগ করার পর প্রেমিকার পন্য ভিডিও ধারনকরে ব্লাক মেইলিং করাই যার পেশা তার এই সামান্য শাস্তিকে মনেপ্রানে মেনে নিতে পারেনি পলাশপুরবাসী।

অপরদিকে একের পর এক ব্লাক মেইলিংয়ের পর পলাশপুর এলাকার ৫ম প্রেমিকার ভিডিও পন্য দিয়ে ব্লাক মেইলিং করতে গিয়ে এবার সেই ব্লাক মেইলারের মুখোশ খুলে যায়। অথচ কাউনিয়া থানা পুলিশ তাকে আটক না করে প্রতারিত কন্যার পিতাকে শালিস মিমাংসার পরামর্শ দেয়।

তথ্যনুযায়ী, নারী খেকো এই ব্লাক মেইলার প্রতারকের নাম সাগর (২৮)। তার পিতার নাম ওয়াদুদ খান। দক্ষিন পলাশপুর এলাকার সাব স্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে তার বাসভবন। নারী খেকো এই সাগরের প্রতারনার ্সর্বশেষ ব্লাক মেইলিং এর ঘটনা জানিজানি হওয়ার পর ফাঁস হয়ে যায় তার পূর্বের ব্লাকমেইলিং এর ঘটনা। প্রতারিত যুবতীর বাইরে সাগর কমপক্ষে ১০/১৫জন মেয়েকে ব্লাক মেইলিং করেছে। যারা বর্তমানে লোক লজ্জার ভয়ে বরিশাল ত্যাগ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আছে।

সর্বপ্রথম সাগর প্রেমের নামে ব্লাক মেইলিং করেছে আলেকান্দা এলাকার হ্যাপি নামের এক তরুনী। তার ২য় ব্লাক মেইলিং এর শিকার হন এ করিম আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এলাকার নূর নাহার নামের এক তরুনী । তারা দীর্ঘ ৬মাস পলাশপুর বৌ-বাজার এলাকায় স্বামী-স্ত্রী রুপে বসবাস করার কিছুদিন পর মেয়ের সর্বস্ব লুটে নিয়ে তাকে ত্যাগ করে সাগর। তার ৩য় ব্লাক মেইলিং এর স্বিকার হন পলাশপুর ১নং মাঠবাড়ির তানিয়া নামের এক যুবতি। তবে এই প্রতারক সাগরের আসল স্ত্রী হচ্ছেন ১নং গুচ্ছ গ্রামের মালা। ৩য় ব্লাক মেইলিং এরপর ৪র্থ ব্লাক মেইলে সাগরের মুখোশ খোলশ হয়ে যায় পলাশপুর বাসীরকাছে। তারা এ ঘটনায় পলাশের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

অধ্যাক্ষরের এই প্রতারিত মেয়ের  পরিবার সূত্র জানিয়েছে পন্য ভিডিও কে কেন্দ্র করে তার পরিবারের কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা দাবী করা হয়। টাকা দিতে অপারগ হলে গত ১৩মে সাগর তার প্রেমিকার পন্য ভিডিও পলাশপুরের প্রত্যেক ছেলেদের মোবাইলে ব্লুটুথ এর মাধ্যমে বিলিয়ে দেয়। যা গত সপ্তাহখানেক যাবৎ পলাশপুর এলাকায় আলোরন সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ ১৩ তারিখ রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এলাকাবাসী এই ঘটনা জানতে পেরে প্রথমে প্রেমিকার পিতার উপর চাপ প্রয়োগ করে। পরে স্থানীয়দের মধ্যে ২টি গ্র“প তৈরী হওয়ায় তারা পরবর্তীতে চাপ প্রয়োগ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ঘটনা ঘটনার পর থেকেই ব্লাকার সাগর ও তার স্ত্রী মালা নগরী ছেরে পালিয়েছে। মিমাংসার বিষয়ে ৫নং ওয়ার্ড কমিশনার মইনুল হক জানান, ৪,৫,৬নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর আলমতাজের বাসভবনে দু’পক্ষের পরিবারের সদস্যদের সম্নতি ও উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের মিমাংসা করা হয়েছে।

আগামি ২ জুন ১লক্ষ ও ১৫জুন ১লক্ষ টাকা জরিমানা দেয়ার শর্তে দুপক্ষই মিমাংসাও মেনে নিয়েছে। ওদিকে প্রতারক সাগরের বাবা ওয়াদুদকে এ ঘটনায় প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান তার কোন পুত্র সন্তান নেই। সাগরকে তিনি ত্যাজ্য পুত্র করে দিয়েছেন।