বরিশালের খল নায়ক মঈন তুষারের খুটির জোর কোথায়?

যুগ্ন আহবায়ক মঈন তুষার ও নাহিদ সেরনিয়াবাদ কোন অপশক্তির ইশারায় ইতিমধ্যে দক্ষিন বাংলায় নিজেদের আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষ স্থানে নিয়ে এসেছে। তুষার নামের এই ছাত্র নেতার উৎপত্তি কোথা থেকে। কার ইশারায় তুষার-নাহিদ বীরদর্পে নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত হয়েও সিংহ’র পালের মত নগরীতে সশস্ত্র মহরা দিচ্ছে। কি এমন ক্ষমতার বলে মঈন তুষার নামের এই ২৯বছরের ছেলে দক্ষিন বাংলার আ’লীগের কর্নধর আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলে আখ্যায়িত করেছে। কার ইশারায় তুষার-নাহিদ নামের এই দুই মানিক জোর বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও যুগ্ন আহবায়ককে মারধর সহ লাঞ্চিত করার স্পর্ধা রাখে। স্বভাবতই দক্ষিন বাংলার সর্ব সাধারনের মুখে এখন একটাই প্রশ্ন কে এই মঈন তুষার?

নগরীর সোবহান মিয়ার পোল এলাকায় বসবাসকারী এই মঈন তুষার ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে রাজনীতিতে পদার্পন করে সেভেন স্টার বাহিনীর প্রধান বি এম কলেজ কলেজের সাবেক ভিপি জসিম উদ্দিনের হাত ধরে। সে সময় তুষার তার একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে কিছুটা পরিচিতি পায়। এরপর ক্ষমতায় আসে বিরোধী দল বিএনপি। কিছুদিন পালিয়ে থাকে রাজধানী ঢাকার শহরে। পরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে লিয়াজু মেইনটেইন করে বরিশালে ফিরে আসে তুষার। আস্তে আস্তে বি এম কলেজ এলাকার ছাত্র লীগ কর্মীদের নিয়ে একটি বাহিনী তৈরী করে মঈন তুষার। তবে বিএম কলেজ এলাকার ছাত্রলীগের সভাপতি রতন গ্রুপ ও গ্যারেজ গেডের পাভেল,মঞ্জু, শহিদুলের গ্রুপটিকে নিজ কোরামে আনতে ব্যার্থ হয় তুষার। এরপর মঈন আব্দুল্লাহর সহযোগীতায় বিএম কলেজ ছাত্রলীগের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা কারা হয় ২০০৫ সালের সেপ্টম্বর মাসে। সেখানে ৫নম্বর যুগ্ন আহবায়ক করা হয় মঈন তুষারকে। যার আহবায়ক হচ্ছেন গাজী শুভ। এ কমিটির ২নম্বর যুগ্ন আহবায়ক সুরুজ সিকদার রাজনীতিতে ইনএকটিভ হওয়ায় সেন্ট্রাল ছাত্রলীগের অনুমতি নিয়ে রফিক সেরনিয়াবাদ ১নম্বর মেম্বার থেকে চলে আসে যুগ্ন আহবায়কের স্থানে। বিপরীতে ৫নং যুগ্ন আহবায়ক থেকে ৪নং যুগ্ন আহবায়ক বনে যায় মঈন তুষার। দেখতে শুনতে পিচ্চি আকৃতির এই ছেলেটি সে সময় বিএম কলেজ ছাত্র লীগের সদর রোডের মেম্বার রাজার হাতে জিলা স্কুলের সামনে মারও খেয়েছিল। আ’লীগ নেতা ঝন্টু সে সময় তাদের মধ্যের সংঘাতকে মিমাংসাও করে দেয়। এরপর ২০০৮ সালের ৪ আগষ্ট শওকত হোসেন হিরনর মেয়র নির্বচিত হওয়ার পর কপাল খোলে মঈন তুষারের।

মহানগর মেম্বার জসিম উদ্দিনের হাত ধরে শওকত হোসেন হিরনের একনিষ্ঠ কর্মীতে রুপান্তরিত হতে থাকে তুষার। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকেতে হয়নি তুষারকে। ২০১০সালের জুন/জুলাই দিকে মাসে রফিক সেরনিয়াবাদকে মারধর করার অপরাধে তুষারকে একবার বহিস্কারও করে সেন্ট্রাল ছাত্রলীগ। তবু অদৃশ্য এক অপশক্তির কারনে অপ্রতিরোধ্য মঈন তুষারকে ক্ষান্ত করতে পরেনি বরিশাল আ’লীগ। মঈন তুষার কোন এক প্রসঙ্গে দৈনিক বাংলার বনেকে জনিয়েছিলেন শত বাধা বিপত্তি তাকে দলীয় কোন কর্মকান্ড থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেনি। কারন তিনি ছাত্রলীগের খল নায়ক মঈন তুষার। পলিটেকনিক কলেজ থেকে শুরু করে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড দখল, বিএম কলেজ ছাত্রলীগ যুগ্ন আহবায়ক রফিক সেরনিয়াবাদকে মারধর ও সর্বশেষ বাকেরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও যুগ্ন আহবায়ক সহ ছাত্রলীগ নেতা ওয়াসিম দেওয়ানকে মারধর করার পর নগরীতে এই বাহিনীটি আরও মূর্তমান আতঙ্কে রুপ নেয়। বর্তমানে তুষার-নাহিদের এই বহিনীর শক্রিয় সদস্যরা হচ্ছে মহানগর ছাত্রলীগ মেম্বার জসিম, জোবায়ের, আলেকান্দার শাওন, অপু, মুন্না, উল্লা, মামুন, উজ্জল সহ একাধিক ছাত্রলীগের কর্মী।