অবশেষে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের

(গুচ্ছ গ্রাম) তিন সন্তানের জনক কর্তৃক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার দু’দিন পর গতকাল রবিবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পরেও ধর্ষণের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রভাবশালী একটি মহল উঠে পরে লেগেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম জানান, গতকাল রবিবার সকালে থানার একদল পুলিশ ধর্ষিতা ও তার মাকে খুঁজে বের করে থানায় নিয়ে আসেন। ধর্ষিতার মা রোকেয়া বেগম বাদি হয়ে ধর্ষক জলিল হাওলাদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই স্বপন কুমার হাওলাদার জানান, ধর্ষিতা কিশোরীকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য জোড় প্রচেষ্ঠা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ধর্ষিতা কিশোরী (১২)’র মা রোকেয়া বেগম জানান, তার একমাত্র কন্যাকে নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তিনি বড়কসবা আবাসন প্রকল্পের ৩/৯ কক্ষে বসবাস করে আসছিলেন। ঘটনার দিন গত শুক্রবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার রমজানপুর গ্রামে একটি বিয়ে বাড়িতে তিনি বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করতে যান। ধর্ষিতা কিশোরী জানান, শুক্রবার রাতে সে নির্জন ঘরে একাকি ঘুমিয়ে ছিলো। গভীর রাতে একই আবাসন প্রকল্পের ৩/৭ নং কক্ষের বাসিন্দা ৩ সন্তানের জনক নছিমন চালক জলিল হাওলাদার রুমের জানালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে মুখে কাপর বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে।