শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবির সংর্ঘষ

ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আহত অবস্থায় মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতিসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলো  সভাপতি মাজহারুল হক সজিব, কর্মী সানাউল্লাহ সানি, ফয়জুল্লাহ, নাজিমউদ্দিন ও শেখ মুহাম্মদউল্লাহ ।

জানা গেছে, মেডিকেল কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার  সকাল থেকেই ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবির ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়া শুরু করে। উভয় গ্রুপই ক্যাম্পাসে যুদ্ধাংদেহী অবস্থায় বিরাজ করে। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। ছাত্রশিবিরের আটককৃত সকলেই আহত হয়েছে। এছাড়া ৩৭ তম ব্যাচের ছাত্রলীগ কর্মী মারুফ আহত হয়। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘঠিত সংর্ঘষের ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। ছাত্র কল্যান পরিষদের ভিপি ছাত্রলীগ নেতা মাসরেফুল ইসলাম সৈকত জানান, মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাইফুল্লাহ দীর্ঘ দিন ধরে তাকেসহ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীদের হুমকি দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রশিবির তাদের (ছাত্রলীগ) উপর হামলা চালিয়েছে।

বিপরীতদিকে ছাত্রশিবির জানিয়েছে, অতিসম্প্রতি ফরম পূরন করিয়ে দেয়ার কথা বলে ফয়জুল্লাহ নামক এক ছাত্রের নিকট থেকে ৫হাজার টাকা নেয় ছাত্রলীগের সমর্থক হারুন। কিন্তু ফরম পুরন না করে উল্টো টাকা চাইতে গেলে তাকে হুমকী ধামকী দেয়া হয়। আজ সকালে ফয়জুল্লাহ হারুনের কাছে টাকা চাইতে যায়। এতে হারুন ও তার সহযোগীরা  ক্ষিপ্ত হয়ে ফয়জুল্লাহকে মারধর করে।

এ খবরে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবির সংঘবদ্ধ হয়ে একে অপরের উপর হামলা চালানোর জন্য জড়ো হয়। প্রশাসনিক ভবনে ছুটে যায় ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। এরপর ছাত্রলীগ সেখানে এসে শিবিরির উপর চড়াউ হয়। শিবিরও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। তিনি জানান পরীক্ষার ফরম পূরনের টাকা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।