বরিশালে সম্ভাবনাময় জাহাজ নির্মাণ শিল্প

সারা বছর চলছে জাহাজ নির্মানের কাজ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা ছোট বড় লঞ্চ,জাহাজ ও কার্গো নির্মানের জন্য এখন বরিশাল মূখী হচ্ছে। সম্ভবনাময় শিল্পকে ধরে রাখতে পাড়লে এ অঞ্চল কে জাহাজ নির্মান শিল্প নগরী হিসেবে বিশ্ব দরবারে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়া সম্ভব বলে মনে করেন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগক্তারা। পাশাপাশি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে রক্ষা পাবে এ অঞ্চলের শত শত যুবক।

জানা যায়, বরিশাল নগরীর আমানতগঞ্জ বেলতলা, দপদপিয়া ফেরীঘাট এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় ডকইয়ার্ড। এগুলো হলো সুরভী শিপিং লাইনস্’র খাজা ডকইয়ার্ড, সুন্দরবন নেভিগেশন’র সুন্দরবন ডকইয়ার্ড, হাওলাদার ডকইয়ার্ড, খান সন্স ডকইয়ার্ড। এসব ডকইয়ার্ডে তৈরী হচ্ছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ লঞ্চ,জাহাজ ও মালবাহী কার্গো। দেশের জাহাজ নির্মাণকারী জেলা হিসেবে পরিচিত ঢাকা, চট্টগ্রাম এর সাথে নতুন মাত্রায় যোগ করতে চায় বরিশালের জাহাজ নির্মাণকারী ডকইয়ার্ড প্রতিষ্ঠানগুলো।

চাকলাদার শিপিং কোম্পানীর ম্যানেজার মোঃ কামাল জানান ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে চাকলাদার শিপিং কোম্পানীর মালবাহী দুইটি কার্গো আগামী সপ্তাহে নদীতে অবতরন করবে। ১’শ ৭৫ ফিট দৈর্ঘ্য ৩২ ফিট প্রস্থ এ মালবাহীকর্গো ৫’শ টন মাল পরিবহন করতে পারবে। এ লঞ্চটি তৈরী করতে সময় লেগেছে প্রায় ১৭ মাস।

সুরভী শিপিং লাইনস্’র (খাঁজা ডকইয়ার্ড) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজিন-উল-কবির জানান, ২০০৩ সালে নিজস্ব জায়গায় সরকারী সহায়তা নিয়ে ২’শ ৪০ ফিট দৈর্ঘ্য ৩৬ফিট প্রস্থ ১ম মালবাহী কোষ্টার তৈরী করেছে। তারপর থেকে খাঁজা ডকইয়ার্ড সুনামে সহিদ বেশ কয়েকটি লঞ্চ, জাহাজ,কার্গো তৈরী করেছে।