বিসিসির দু’কর্মকর্তার ক্ষমতার দাপট প্রর্দশন!

দাপট প্রর্দশনে অতিষ্ঠ নগরবাসী। এরা হলেন জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত বাবলু ও এ্যাসোসর চীফ আবুয়াল মাসুদ ওরফে মামুন হোসেন। এদের বিরুদ্ধে নগরবাসীর অন্তহীন অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে মেয়রের নাম ব্যব্হারে করে এরা একের পর এক অন্যায় অপকর্ম করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মেয়রকে বিতর্কিত করা হচ্ছে।

জানা গেছে, জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত বাবলু বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছে। আবার মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ পরিবেশন হলে অগ্নিমূর্তি রূপ ধারন করে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে দেখিয়ে দেয়ার হুমকী দিচ্ছেন। মেয়রের বিদেশ সফর নিয়েও তিনি বার বার মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন। মেয়র দেশের বাইরে অবস্থান করলে তিনি বলেন মেয়র রাজধানী ঢাকায় রয়েছেন। সম্প্রতি মেয়র ভারতে যান। কলকাতার মেয়র এখানকার মেয়র শওকত হোসেন হিরনকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। বাবলু এই তথ্যটি না দিয়ে বলেছিলেন মেয়র ঢাকায়। অথচ মেয়র ১৯ মে দেশে আসার পর মিডিয়ার দরজায় প্রেস বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় বলা হয়েছে যে, মেয়র হিরনকে কলকাতার মেয়র সংবর্ধনা দিয়েছেন। এর আগে সরকারী কিংবা ব্যাক্তিগত সফরে মেয়র যতবারই বিদেশ গেছেন প্রতিবারই বাবলু বলেছেন মেয়র দেশে আছেন। বাবলুর এহেন মিথ্যাচারের নেপথ্যে কি? এমন প্রশ্ন’র আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। শওকত হোসেন হিরন মেয়র হিসাবে দ্বায়িত্ব নেয়ার পর জনসংযোগ কর্মকর্তার পদে বসেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাবলু। এরপর তিনি দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তিনি নিজেকে নগরীর বিভিন্ন দপ্তরে মেয়রের আস্তাভাজন পরিচয় দিয়ে অন্যায় সুবিধা ভোগ করছেন। সিটি কর্পোরেশনের বিজ্ঞাপন যায় বাবলুর হাত দিয়ে। কর্পোরেশনের প্রতি বিজ্ঞাপনেই বাবলু’র বিরুদ্ধে পার্সেন্টিজ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলার বনের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাকিব বিপ্লবের গলা কেটে নেয়ার হুমকী দিয়েছিল। দক্ষিণাঞ্চলের খ্যাতনামা এক সিনিয়র সাংবাদিকের সঙ্গেও ক্ষমতার দাপুটে শক্তিতে তর্ক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল বাবলু। অনেকটা বেয়াদপ হিসাবেও আখ্যা পেয়েছে বাবলু।

অপরদিকে মঙ্গলবার বরিশাল থেকে প্রকাশিত শীর্ষ স্থানীয় একটি পত্রিকার নারী সংবাদ কর্মীকে হুমকী দিয়েছে বিসিসির চীফ এসোসর আবুয়াল মাসুদ মামুন। সংবাদ কর্মীকে বলা হয়েছে কর্পোরেশন থেকে আর কোন তথ্য দেয়া যাবে না। সূত্র বলছে, কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগ থেকে আবুয়াল মাসুদ মামুন পার্সেন্টিজ পাচ্ছেন। তিনি অবৈধ পন্থায় লাখ লাখ টাকা পকেটে পুড়ে নিচ্ছেন। মুলত মেয়রে আস্তাভাজন মামুন। এ কারনে তার দাপটও বেশি। সবমিলিয়ে বেলায়েত বাবলু ও আবুয়াল মাসুদ মামুনের জিম্মীদশা থেকে মুক্তি পেতে চান ভুক্তভোগীরা। এজন্য সচেতন মহল বিসিসি মেয়র শওকত হিরনের সু’দৃষ্টি কামনা করছেন। এদের দৌরাত্ম বন্ধ না করা না হলে মেয়রও তাদের অপকর্মের দ্বায় এড়াতে পারবেন না বলে মন্তব্য সচেতন মহলের।

এদিকে মিডিয়ায় মিথ্যাচার প্রসঙ্গে বেলায়েত বাবলু বলেন আমি কর্পোরেশনের চাকরী করি। অফিসের একটা পলিসি রয়েছে। সেই পলিসি মেইনটেইন করে চলছি। এক্ষেত্রে অনেক সময় কিছু কিছু বিষয় এড়িয়ে যেতে হচ্ছে। আবুয়াল মাসুদ মামুন জানান কোন মহিলা সংবাদ কর্মীর সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা বা হুমকী দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। এ প্রসঙ্গে মেয়র শওকত হোসেন হিরনের ব্যাক্তিগত সেল ফোনে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর একাধিকবার ডায়াল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।