প্রতারনার নয়া কৌশল – বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে লোভনীয় অফার

একটি প্রতারক চক্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন মোবাইলে এসএমএস পাঠানো শুরু করেছে। এ নিয়ে গত দু’দিনে বরিশালের গৌরনদীতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওইসব প্রতারকদের খপ্পরে না পরার জন্য ইতোমধ্যে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের অনুরোধ জানিয়েছেন।

সূত্র মতে, গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডস্থ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহম্মেদ কোরাইশী সোহাগের ব্যবহৃত গ্রামীণ ফোন সিমের মোবাইল ফোনে গত দু’দিন পূর্বে একটি ম্যাসেজ আসে। প্রেরিত ম্যাসেজে বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে উল্লেখ রয়েছে, আমাদের কোম্পানীর বাৎসরিক লটারীতে আপনার মোবাইল ফোনের নাম্বারটি বিজয়ী হয়েছে। বিধায় আপনি পাচ্ছেন ৫ হাজার ইউএস ডলার। এই টাকা পেতে হলে আপনাকে জরুরি ভিত্তিতে (০০২৩২২২২৯১০৯১) নাম্বারে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। ম্যাসেজ পাওয়ার পর ব্যবসায়ী সোহাগ উল্লেখিত নাম্বারে ফোন দিয়ে জানতে পারেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে ম্যাসেজ পাঠানো হলেও ওই নাম্বারটি দুবাইয়ের। প্রতি মিনিট ফোন কল 2০ টাকা বেশি হওয়ায় একমিনিট কথা বলার পরই ব্যবসায়ী সোহাগের ফোন কলটি বিছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (০০২৩২২২২৯১০৩৮ / ০০২৩২২২২৯১০৩৯ / ০০২৩২২২২৯১০৪১) নাম্বার থেকে একে একে তিনটি এসএমএস পাঠানো হয়। দ্বিতীয়  এসএমএস-এ উল্লেখ রয়েছে পূর্ণরায় কল করার জন্য। তৃতীয় এসএমএসে ১০ হাজার ইউএস ডলার প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করা হয়। চতুর্থ এসএমএসে পুরস্কার হিসেবে একটি কার পেয়েছেন বলে উল্লেখ করে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়। অন্যথায় তার পুরস্কারটি অন্য কাউকে দেয়া হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে। একইভাবে এসএমএস পাঠানো হয়েছে গৌরনদী বাসষ্ঠ্যান্ডের আরেক ব্যবসায়ী স্বাধীন আহম্মেদ ও খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা প্রনব রঞ্জন বাবু দত্তকে। তবে প্রতিটি নাম্বারই গ্রামীণ ফোনের।

এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম বলেন, এটি নিছক একটি প্রতারক চক্রের কারসাজি মাত্র। তিনি আরো বলেন, ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের নামে পাঠানো এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রতারিত না হওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বাংকের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের সর্তক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। যাহা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সম্প্রচার করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।