সুগন্ধায় বালু উত্তোলনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন প্রায় উত্তমাবাদ

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাসের নির্দেশে নলছিটি ইউএনও চালক, মিস্ত্রিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসক বালু উত্তোলন বন্ধ করে এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পেয়ে নলছিটির ইউএনও সঞ্জয় চক্রবর্তী বিকেলে  সুগন্ধা নদীতে পুলিশের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করে। ড্রেজার মালিক পলাতক রয়েছে।

এলাকাবাসি জানায়, নদীগর্ভে বিলীনপ্রায় সুগন্ধা নদীর উত্তমাবাদ এলাকায় বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে এলাকাবাসি মঙ্গলবার ড্রেজার আটকের পরেও বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। ভৈরবপাশা ইউনিয়নের কিছু স্বার্থান্বেষীমহল ও  নলছিটি থানার এসআই নজরুলের সহযোগীতায় এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এলাকাবাসি বাধ্য হয়ে কৃষিজমি, বাড়িঘর রক্ষার স্বার্থে বৃহস্পতিবার  জেলা প্রশাসকের কাছে এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন জানান।

জেলা প্রশাসক এর কাছে  নলছিটি উপজেলার উত্তমাবাদ, চরষাটপাকিয়া এবং বহরমপুর এলাকাবাসির পক্ষে বুধবার সুগন্ধা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে অবৈধ বালু উত্তোলনকারি এবং ড্রেজার মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইতিপূর্বে এ তিন গ্রামের নদী ভাংগুলী ভূমিহীন  কৃষকদের জমি, বাড়ি ঘর এবং মসজিদ মাদ্রাসা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। যা পরবর্তীতে নদীর দক্ষিণ পাড়ে মালিপুর মৌজার চরের সম্পত্তিতে পয়স্তি হয়েছে। তাই সেখানে কয়েকশত ভূমিহীন পরিবার বসবাস করিয়া আসছে। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে ইউনিয়নের প্রভাবশালী একটি মহল কালিজিরার ড্রেজার মালিক মাসুদের মাধ্যমে এখান থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। নলছিটি থানার দারোগা নজরুলকে এব্যাপারে জানানো সত্বেও তিনি ঘটনাস্থলে এসে দেখেও চলে যান।

দীর্ঘদিন এ বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখায় সুগন্ধা নদী সংলগ্ন এ তিন গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হবার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত স্বচিত্র প্রতিবেদন নিয়ে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে এ লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। তাই জেলা প্রশাসক তাৎক্ষনিক ভাবে নলছিটি ইউএনও কে এ নির্দেশ দেন। এব্যাপারে ইউএনও সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, আমিও পত্রিকায় সংবাদ দেখেছি এবং জেলা প্রশাসক মহদোয় আমাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তাই আমি তাৎক্ষনিক ভাবে এ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার এবং ড্রেজার আটক করেছি। এছাড়াও ড্রেজার মালিককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

এব্যাপারে নলছিটি থানার ডিউটি অফিসার এএসআই সিদ্দিক এর কাছে গ্রেফতারকৃতদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাইরে। তাই নাম এ মূহুর্তে বলা যাবেনা। তবে ড্রেজারের ব্যাপারে ৪ জন লেবার ইউএনও সাহেব ধরে পাঠিয়েছে তাদের কি করতে হবে তা তিনি জানাননি।