আছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় আজম খানের ছেলে হৃদয় খান বলেন- তার বাবাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে মৃত ঘোষণা করেনি, তবে ডাক্তাররা আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আজম খানের এ খবরে সঙ্গীত জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার আত্মীয়-স্বজন ও ভক্তরা হাসপাতালে ভিড় করছেন।
গত বছরের ৭ নভেম্বর মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত কণ্ঠশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা আজম খানকে দ্বিতীয় দফা চিকিৎসা দিতে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তাকে মোট ৩০টি টমোথেরাপি কথা ছিল ও ৫টি কেমোথেরাপি। কিন্তু ২১টি টমোথেরাপি (রেডিওথেরাপি) ও ১টি কেমোথেরাপি নেয়ার পর ২৭ ডিসেম্বর আজম খান দেশে ফিরে আসেন। কিছুদিন ভাল থাকলেও আবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
গত ২২ মে বাম হাতে হঠাৎ প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে তাকে দ্রুত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ১৩০৭ নম্বর কেবিনে তিনি রেডিওলোজিস্ট চিকিৎসক কামরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজম খানকে বাংলাদেশের পপ সম্রাটে বলা হতো। তিনিই বাংলাদেশে পপ সংগীতের প্রচলন শুরু করেছিলেন। সর্বশেষ তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাচিঁয়ে রাখা হয়েছে। ডাক্তাররা আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বাচিঁয়ে রাখার।