বরিশালে বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা চেষ্টা

 করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে পাষন্ডরা। নির্যাতনের শিকার আবদুর রহিম খানের(৮০) গলায় ও বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে দুবৃত্তরা ফেলে রেখে নির্বিঘ্নে কেটে পরে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বৃদ্ধ। পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছেন।
 
ঘটনার ১০/১২ দিন আগে রহিম খানের বসতঘরে চিরকুটে লেখা হয়, রহিম খান, দাফন কাফনের জন্যে প্রস্তুত থাইকো। ঘটনার পর ওসি মামলা নিলেও রহস্যজনক কারনে ৪দিন অতিবাহিত হলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার শিকার আবদুর রহিম খানের ছেলে মামলার বাদী  মাছুম খান ও তার পরিবারের দাবী, বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা চেষ্টার সঙ্গে ভোলা সদর থানায় কর্মরত এ এস আই কাজল ইসলাম জড়িত। পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্রাচার্যকে বিষয়টি অবহিত করার পর তিনি ওসিকে আসামী গ্রেফতার করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সুপার শীর্ষ নিউজকে জানিয়েছেন এ এস আই কাজল ইসলাম জড়িত থাকলে তার রেহাই নেই।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এ এস আই কাজল ইসলামের সঙ্গে ১ একর ২শতাংশ ফসলী জমি নিয়ে  বিরোধ চলে আসছিল আবদুর রহিম খানের সঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে কাজল ইসলাম ও তার অনুসারীদের একাধিকবার আবদুর রহিম খান ও তার ছেলেদের বাকবিতন্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে থানা ও আদালতে পাল্টা পাল্টি মামলা দায়ের করা হয়। গত ৪/৫দিন আগে কাজল নিজ বাড়ী মেহেন্দিগঞ্জে আসে। সর্বশেষ ২৪ মে মধ্যরাতে রহিম খানের বসতঘরে সিদ কেটে ঢুকে অন্তত ১০/১৫ জন। লোকজনের টের পেয়ে গৃহকত্রী ফাতেমা বেগম সৌরবিদ্যুতের সুইচ টিপ দেয়। তখন কাজল ইসলাম, মোজাম্মেল,সেন্টু  বেপারী ও তাদের সাঙ্গপ্ঙ্গারা ঘিরে ফেলে রহিম খানকে। এরপর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ও  ডান বুকে বেধড়ক ধারালো অস্ত্র চালায়। রহিম খানের মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে  পাষন্ডরা কেটে পরে। ভোর রাতে ট্রলার যোগে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংকাজক। ঘটনার পর কাজল ইসলাম সহ ১২জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু ওসি মোহাম্মদ গাজ্জালী এএসআই কাজলের নাম বাদ দিয়ে পরবর্তীতে থানায় ২৬ মে রাতে মামলা রেকর্ড করেন।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মাদ গাজ্জালী বলেন বাদী’র লিখিত অভিযোগে এএসআই কাজলের নাম ছিল না। এজন্য মামলার রেকর্ডেও তার নাম থাকার কোন প্রশ্ন আসে না। তবে বাদী এখন বলছে ঘটনার সঙ্গে কাজলের সম্পূক্ততা রয়েছে। বাদীর এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মামলার তদন্তে যদি এএসআই কাজলের সম্পূক্ততা পাওয়া যায় তাকে আসামী হিসাবে অন্তভূক্ত করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নজরুল ইসলাম ও ঘটনার মুল হোতা এ এস আই কাজল ইসলামের সঙ্গে শুক্রবার গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে বলে বৃদ্ধের পরিবার অভিযোগ করেন। মেহেন্দিগঞ্জ থানায় বিকেল সোয়া ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ওই গোপন বৈঠক চলে।  বাদী মাছুম খান জানান, ঘটনার সঙ্গে প্রায় ২০ জন জড়িত রয়েছে। এএসআই কাজলের ব্যাক্তিগত সেল ফোনের ০১৭৪৩৯৪০১৭৮ নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া গেছে।