উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সেলিমকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষনা

ভিত্তিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করি। আমি ২বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আগে আন্ডারচর এলাকা থেকে সমর্থণ দিয়েছে এরপর আমরা অন্য এলাকায় ভোট চেয়েছি। গত বছর আসাদুজ্জামান জামাল আমার কাছে আবদার করেছে। সবাই একমত হয়ে ওর জন্য নির্বাচন করেছি। এবারও সবাই আন্ডারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোসলেম সরদারের কাছে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে একজন চেয়ারম্যান প্রাথী ঠিক করার জন্য অনুরোধ জানালে তিনি কালক্ষেপন করে আর প্রার্থী ঠিক করলেন না। ওনার কাছে সবাই যায় আর উনি বলেন সময় আহুক ধর্য্য ধরেন। সময় আসার পরিপ্রেক্ষিতে কামরুল আহসান সেলিমের এলাকার ২টি ওয়ার্ডের ১১জনের একটি কমিটি তার কাছে গেলে তিনি ওই কামিটিকে কোন গুরুত্ব দেননি।’ এক প্রশ্নের জবাবে বললেন সাহেবরামপুর ইউনিয়নের সাবেক ২বার নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন।

সাহেবরামপুর ইউনিয়নে প্রশাসনের ১৪৪ধারা জারি প্রসঙ্গে তিনি জানান, টাকা দাখিলের কয়েকদিন আগে সকালে একটি ঐক্যমত্যের ডাক দিয়ে আন্ডারচর হাই স্কুল মাঠে সকলে সমবেত হয়। রাজ্জাক মোল্লা থানায় গিয়ে বলে ওই স্থানে আমরা মিটিং দিয়েছি আবার আরেক পক্ষও মিটিং দিয়েছে, বিভিন্ন কারনের কথা বলে প্রশাসন দিয়ে ১৪৪ধারা জারি করে উক্ত স্থানের সমাবেশ পন্ড করে দেয়। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন ষরযন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সাহেবরামপুর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ যেখানে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন করে সেখানে ১৪৪ধারা জারি করায় সকলের মধ্যে তীক্ততা দেখা দিয়েছে।

কামরুল আহসান সেলিম প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এখন তাদের ভোট নিয়ে অনেক হিসাব নিকাশ করছে। বিগত দিনের কর্মকান্ডকে তারা চুলছেড়া বিশ্লেষণ করছে। ভোট গ্রহনের দিন ঘনিয়ে আসলে শুরু হয় প্রতিশ্র“তি দেয়ার রীতি। কিন্তু সাধারণ মানুষ আর প্রতিশ্র“তি শুনতে চায় না। বিগত দিনে কে কি কাজ করেছে তার মুল্যায়ন করে তারা ভোট দিয়ে থাকেন। সেলিম জনপ্রতিনিধ না হয়েও সাহেবরামপুরের এলাকাগুলোতে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছেন। তিনি সবসময়ই অসহায়-গরীব মানুষদের সহযোগীতা করার চেষ্টা করেছেন। সফলও হয়েছেন সবক্ষেত্রে। তার ব্যক্তি ইমেজই নির্বাচনের মূল হাতিয়ার। তিনি একজন সমাজসেবক। তিনি শান্ত শিষ্ট ও নিরহ প্রকৃতির লোক। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দাড় করিয়েছি। জয়ী হলে উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, সেলিমের জীবেনের ইচ্ছা হলো জনসেবা করার। অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর মন মানসিকতা থাকার কারনেই তাকে সাধারণ মানুষ পছন্দ করছে। রানৈতিক উচ্চাভিলাশ তার নেই। সাহেবরামপুর ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তর করাই হবে তার প্রধান কাজ।

কামরুল আহসান সেলিমকে প্রার্থী করার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন,  ২/৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করার জন্য ৩লক্ষ টাকা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলে চেয়ারম্যান, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের পকেটে গিয়ে ২লক্ষ টাকার বেশী কাজ হয় না। রাস্তার কাজ অসম্পূর্ণই থেকে যায়। সেখানে সেলিম যদি নির্বাচিত হয় তাহলে সম্পূর্ণ কাজ তো করবোই আরো বেশীই করার চেষ্টা করবে। বিগত দিনে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশীদার হওয়ার নজির সবাই দেখেছে। সাধারণ মানুষের টাকার জবাবদিহিতা সে সাধারণ মানুষের কাছেই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দিবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কামরুল আহসান সেলিম সাহেবরামপুরবাসীর পাশে থেকে তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে চান। সে এলাকার মানুষের নয়নমনি হিসেবে পরিচিত। এ এলাকার অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে এ পরিবারের সদস্যরা কলেজ, বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও মসজিদ নির্মাণে সহায়তা করেছেন। বেকার সমস্যা সমাধানে এলাকার শত শত মানুষকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছেন। দূর্যোগকালীন সময়ে নিরন্ন মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। বিপন্ন মানুষদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে সমূহ বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন।

তিনি বলেন, গত ২৩ মে সাহেবরামপুর এবং পার্শ্ববর্তী কয়ারিয়া, সিডিখান, শিকারমঙ্গল ও রমজানপুর ইউনিয়নের শতাধিক চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। সাহেবরামপুরসহ পাঁচটি ইউনিয়নের সাথে কালকিনি উপজেলার যোগাযোগের একটিমাত্র পথ। সাহেবরামপুর ইউনিয়নসহ ৫টি ইউনিয়নের প্রার্থীরাও কালকিনি উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে রওনা হন। একটিমাত্র পথ এবং একই সময় হওয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা শতাধিক প্রার্থীর যাত্রাটি মনে হয়েছে বিশাল বহর। আর এই বিশাল বহরটিকে বলা হচ্ছে সাহেবরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামরুল আহসান সেলিমের বহর। এ নিয়ে কিছু লোক সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের সেই অপচেষ্টার জবার ভোটের মাধ্যমে সাহেবরামপুরবাসী দিবে।