বরিশালে সাড়ে ৪ বছরে মারা গেছে ৫শত ২৫ জন প্রসূতী মা

ও পরে ৫ শত ২৫ জন মা মারাগেছে ।  এর মধ্যে ২০০৭ সালে মারা যান ১২৫ জন, ২০০৮ সালে ১৪৮ জন, ২০০৯ সালে ১১৪ জন, ২০১০ সালে  ৯৪ জন ও চলতি বছরের ৪ মাসে ৪০ জন। ফলে মোট মৃত্যুর মধ্যে এ্যকলামশীয়ায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু বেশী হয়েছে বিষেশজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছে । তাদের মতে এসব মা সন্তান  প্রসব কালীনসময় ও সন্তান প্রসবের ৩ দিন কিংবা ৭ দিনের মধ্যে মারা গেছেন।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতল এবং  জেলার ৯ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গত ৪ বছর ও চলতি বছরের ৪ মাসের হিসেব অনু সন্ধানে এ তথ্য পাওয়া গেছে ।

এদিকে বরিশালে মাত্র ১৮ ভাগ প্রসব দক্ষ সেবাদানকারীদের সহায়তায় হচ্ছে। আর ৬৩ শতাংশ মা এখনো প্রসব করাচ্ছেন অপ্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রীদের সহায়তায়। এখনো ৪০ ভাগ নারী গর্ভকালীণ সেবা গ্রহন করছেন না। মহিলাদের গর্ভকালীণ সেবা প্রদানকালে অনেক ক্ষেত্রে সেবার বিভিন্ন গুরুত্বেপূর্ণ ধাপ অনুসারণ করা হচ্ছে না বলে দাবী করেছে বিশেষজ্ঞরা। মায়েদের অকাল মৃত্যুর কারণ হিসেবে বরিশালের বেশ কয়েকজন গাইনী বিভাগের চিকিৎসক জানান, শহর অঞ্চলের মায়েরা অনেকাংশে সচেতন হলেও গ্রামে এখনো সচেতনতার অভাব রয়ে গেছে। গ্রামে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মির অধিকাংশই বাড়ী বাড়ী গিয়ে কাজ করেন না বা তাদের মাঠ পর্যায় দেখা যায় না। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে অনেক সময়  গর্ভবতী মায়েদের সঠিক পরিচর্যা করা হয় না। এমনকি তারা গর্ভবতী মায়েদের অতি প্রয়োজনিয় ব্লাড প্রেসার মাপেন না। আর এ কারণে রোগীরা হঠাৎ করে এ্যাকলামশিয়া রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। বিশেষ করে রোগীকে সঠিক সময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা নেয়ার জন্য নেই ভালো যোগাযোগ ব্যাবস্থা। পাশাপাশি বরিশালের বিভিন্ন উপজেলা গুলোতে এখনো বাল্য বিবাহ হচ্ছে। এতে উপযুক্ত সময়ের পূর্বেই আনেক বিবহিত কিশোরী সন্তান গর্ভধারণ করে। প্রসবকালীন সময় এ সব কিশোরীর বেশী ভাগই মারা যায়। আবার কোন কিশোরী মা বেচে গেলেও পুষ্টি হিনতার কারণে তারা মৃত্যু প্রায়ই হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ’র গাইনী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শাহ আলম তালুকদার জানান, গর্ভবর্তী মায়ের সন্তান প্রসবকালীণ সময় মৃত্যু রোধ করতে হলে উপজেলার স্বাস্থ্য  কর্মিদের চিকিৎসা ব্যাবস্থায় জবাব দিহিতা মূলক করতে হবে। তাছারা সন্তান প্রসবের ৪০ দিন পযন্ত মাকে সম্পূণ পরিস্কার পরিছন্ন থাকতে হবে। একই সাথে মা ও তার পরিবারের সকলকে সচেতন থাকতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।