গৌরনদীতে কলেজ ছাত্রী ও গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

ও রবিবার রাতে নন্দনপট্টি গ্রামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। উভয় মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসির মধ্যে।

গৌরনদী থানার এস.আই আবুল হোসেন জানান, কালকিনি উপজেলার ডাসার কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ও বাকাই গ্রামের বিজয় দাসের কন্যা সাথী দাসের (১৭) গতকাল সোমবার সকালে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রহস্য উদঘাটনের জন্য এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছেন। নিহত কলেজ ছাত্রীর বাবা বিজয় দাস জানান, সোমবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাথী মারা যায়। নিহত সাথীর কাকা গৌরাঙ্গ দাস জানান, সাথী তাদের বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়নার দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে সাথী ধর্ষণের স্বীকার হয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। ধর্ষকের সাথে বিজয় দাসের সমঝোতা হওয়ায় বিষয়টি অভিভাবকরা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা করছে। এ ব্যাপারে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকন ছিদ্দিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিহত কলেজ ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ভিন্নতর বক্তব্য পাওয়ায় বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।

অপরদিকে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য কাজী সলেমান হোসেনের স্ত্রী শিরিন বেগমের (৪০) রবিবার সন্ধ্যায় রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিরিনের ভাই আলকাচ হাওলাদার অভিযোগ করেন, তার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়েছে। নিহতের স্বামী কাজী সলেমান জানান, বাত জ্বরের ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে তার স্ত্রী শিরিন বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। এস.আই আসাদুল হক জানান, শিরিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার বরিশাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পেলে হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ইতিপূর্বে কাজী সলেমানের বিরুদ্ধে একইভাবে গৃহকত্রীকে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে সে (সলেমান) মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।