বরিশালে যুবককে পিটিয়েছে কারারক্ষীরা

আনোয়ার  হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে দুই দফা পিটিয়েছে। কোতোয়ালি পুলিশ ওই যুবককে থানায় নেওয়ার জন্য কারাগারে গেলে তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে কারারক্ষীরা।

রোববার রাতে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আনোয়ার হোসেন নগরীর সাগরদী ইসলাম পাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে। আনোয়ারের ভগ্নিপতি বাবুল হাওলাদার জানান, কিছুদিন আগে তার ছেলে মুহিনের একটি সাইকেল চুরি হয়। রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে একই রকমের একটি সাইকেল দেখে মুহিন তার মামা আনোয়ারকে খবর দেয়। এ সময় ওই সাইকেলটি ছিল কারাগারের দর্জি মোতালেব ব্যাপারীর ছেলে সোহেল ব্যাপারীর কাছে।

আনোয়ার ঘটনাস্থলে এসে দু’জনের বক্তব্য শোনে। দুইজনই সাইকেল নিজের বলে দাবি করে। এ সময় সাইকেল রেখে সোহেল ও মুহিন দুজনকেই সাইকেল কেনার রশিদ নিয়ে আসতে বলে। যে রশিদ নিয়ে আসবে, তাকেই সাইকেল দেওয়ার কথা জানায়  আনোয়ার। পরে আনোয়ার সাইকেলটি নিয়ে ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে যায়। কারাগারের দর্জির ছেলে সোহেল কেনার রশিদ নিয়ে না এসে কারারক্ষীদের খবর দেয়।

খবর পেয়ে কারারক্ষী উজ্জল, খোকন ও নূর ইসলাম কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে বসে থাকা আনোয়ারকে ‘চোর’ বলে মারধর শুরু করে। বেধড়ক মারধরের পর তাকে (আনোয়ার) কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসে কারারক্ষীরা।  

সেখানে এনে আরো কয়েকজন মিলে আনোয়ারকে ২য় দফা মারধর করে। এতে মুমূর্ষু অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকে আনোয়ার। পরে সিনিয়র জেলা সুপার সগির মিয়া যুবককে উদ্ধার  করেন। পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হলে পুলিশের কাছে যুবককে হস্তান্তর করতে বাধা দেয় কারারক্ষীরা।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার টহল পুলিশ দলের এসআই হেলালুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে কারাফটকে যাই। যেহেতু তারা আরেকটি ইউনিট।  সুতরাং তাদের অনুমতি ছাড়া তো ভেতরে যাওয়া যাবে না অথবা কারা কর্তৃপক্ষ যদি না দেয়, তাহলে তো যুবককে আনা যাবে না। তাই, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চলে এসেছি।’

সিনিয়র জেল সুপার সগির মিয়া জড়িত কারারক্ষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে আনোয়ারের অভিভাবকদের বলেন, ‘আপনারা আনোয়ারকে নিয়ে যেতে পারেন।  ইচ্ছে করলে আইনগত ব্যবস্থাও নিতে পারেন।’